টাঁড় পাহাড়ের পদাবলি। মিহির সেনগুপ্ত

সবাই বলে বেলমি পাহাড়ির ঝোরা। তিরতির করে জল বইছে। পাথরের এ খাঁজে ঢুকে ও-খাঁজ থেকে চুঁইয়ে বেরিয়ে সে এক দৃশ্য বটে। আশপাশের জমিন ঢেউ খেলানো টাঁড়। সেই ঢেউ-এর শেষ সীমানা ঝাঁটি জঙ্গল নিয়ে পরেশনাথ পাহাড়ের চূড়ায় গিয়ে পৌঁছোয় ধাপে ধাপে-- সে এক অসামান্য ভূচিত্র, যেন গাঢ় সবুজের ঢেউ। ঐ জমিগুলি চেঁছে ছুলে শত্রুঘনেরা বা অনুরূপ মানুষেরা আবাদ করেছে। সেখানে পাহাড়ের গা বেয়ে বৃষ্টির যে ধারা নামে, তাকে আল বন্দি করে ধানের চাষ হয়। 
এই বেলামু টাঁড় গাঁওটি একটি 'ফরেস গাঁও' বটে। এখানে চারদিকেই জঙ্গল আর পাথর। পাথর, পাহাড়, টিলা আর মালভূমির কাঁকড়ওলা উঁচু জমি। এর আশেপাশের ব্যাপ্তিতে আছে 'ফরেস'। শাল শার্জম। শত্রুঘন এবং তাঁর গোষ্ঠীর মানুষদের বড়ো প্রিয় এই মহীরুহ। আকাশছোঁয়া মাথা নিয়ে ছিল তাদের ঘন বসতি। কোম্পানির আমল থেকেই এই মহীরুহদের প্রতি দৃষ্টি পড়ে সাগরপাড়ের কুৎসিত লোভীদের। ফলত শাল, পিয়াল, শিমুল, কেঁদ-এর একদা গহন অরণ্য আজ আর নেই। পাহাড়-টিলার অন্দর-কন্দরের সর্বত্র ছড়িয়ে আছে স্বাধীন জীবন পাওয়ার জন্য হাহাকার। 

টাঁড় পাহাড়ের পদাবলি
মিহির সেনগুপ্ত

প্রচ্ছদঃ শুভশ্রী দাস
অলংকরণঃ পার্থপ্রতিম সরকার, আত্রেয়ী সাহা

মুদ্রিত মূল্য: ২৫০ টাকা
#সুপ্রকাশ

Comments

Popular posts from this blog

বাংলায় স্মৃতির পেশা ও পেশাজীবীরা ১।। সম্পাদনা : সুজন বন্দ্যোপাধ্যায়।।

সময় ভ্রমণ।। দার্জিলিং : পাহাড়-সমতলের গল্পগাছা।। সৌমিত্র ঘোষ।।

সময় ভ্রমণ।। সৌমিত্র ঘোষ।।