দুটো আলাদা কারণে বীরেশ্বর সামন্ত খুন হতে পারে। হয় ভীষ্ম বাগাল সম্পর্কিত প্রবাদ সত্যি হয়েছিল, আর নয়ত রোহিণী বাগাল সম্পর্কিত লোককথা সত্যি হয়েছিল। কিন্তু দুটো একসঙ্গে ঘটতে পারে না কিছুতেই, কারণ একজন সত্যি হলে অপরজন মিথ্যে হতে বাধ্য। তা সত্ত্বেও সবাই বিশ্বাস করেছিল দুটোই ঘটেছে, কারণ সবাই জানত, যেনতেন প্রকারেণ বীরেশ্বরকে মরতেই হবে। সামন্ত না থামলে বাগালি থামবে না। রহস্য নয়, নয় সমাধানও, অপরাধ কেন ঘটেছিল আর সেটা অপরাধীর সত্তাকে কীভাবে আচ্ছন্ন করল, সেই প্রশ্নের তদন্ত করাই আমাদের সময়কার ডিটেকটিভের একমাত্র কাজ। বীরেশ্বর সামন্তর হত্যা তাই গুরূত্বপূর্ণ নয়। গুরূত্বপূর্ণ হলাম আমরা, আমাদের অস্বস্তিকর বিবেক। বীরেশ্বর সামন্তর হত্যা রহস্য শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য প্রচ্ছদ : সৌজন্য চক্রবর্তী সুপ্রকাশ আসছে.. এই বৈশাখেই।