Posts

Showing posts from July, 2022

আসছে নির্মুখোশ শারদ ১৪২৯

Image
আসছে নির্মুখোশ শারদ ১৪২৯ চিত্র-ঋণঃ কল্লোল লাহিড়ী

বাবার ইয়াশিকা ক্যামেরা। কল্লোল লাহিড়ী

Image
“বইভর্তি আলমারি? নাকি আলমারি ভর্তি বই?” আমার দিকে দাদা তাকিয়ে চোখ গোল গোল করে। প্রশ্নটা আমাকেই সে করেছে। আমি দাঁড়িয়ে আমাদের একশো কুড়ি গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোডের বাড়ির দোতলার সিঁড়িতে। আমার হাতে উপচে ওঠা বই। দাদার হাতেও। এই শীতেও আমাদের কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম। এর মধ্যে বার পাঁচেক একতলা তিনতলা করে ফেলেছি আমরা। কারণ আজ বই রোদ্দুরে দেওয়ার দিন। বছরের একটা দিন বাবার মনে হতো বইয়ের রোদ্দুর পোয়ানো উচিত। সেদিন আর অন্য কিছু কাজ করা হতো না। সারাদিন বইয়েরা রোদ পোহাতো, তার সাথে বাড়ির সবাই। এমনিতেই এক তলায় যেখানে আমরা থাকি রোদ আসে না মোটেই। গরমকাল তাই আমাদের কাছে স্বর্গ মনে হয়। আর বর্ষার সময় থেকে দেওয়ালগুলো ভিজে উঠতে থাকে জোলো জোলো স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে। শীতকাল হাড়ে কাঁপন লাগায়। আমাদের মধ্যে সবচেয়ে কষ্ট হয় বাবার। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে বাবার শরীর খারাপ হতে থাকে। একটু ঠান্ডাতেই বুকে সর্দি জমে। হাঁপানির টান বাড়ে। শরীরটাকে টেনে তখন শুধু স্কুল যাওয়া ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না বাবা। তাই শীতকালে একটু বেশি রোদের দরকার হয় মানুষটার। কিন্তু বেশি রোদ তখন কোথায়? ওটা যেন এক মহার্ঘ্য হয়ে দেখা দেয় আমাদের কাছে।  অনেকদিন প

আহাম্মকের খুদকুড়ো। দুর্লভ সূত্রধর

Image
আদতে উত্তর রাঢ়ের গঙ্গা অববাহিকা অঞ্চলের বাসিন্দা হলেও বাবার কাজেরর সূত্রে কিছুকালের জন্য পরিবারটিকে থাকতে হয়েছিল শুকনো আবহাওয়ার পাথুরে গরমের লালমাটির দেশে। কিন্তু সেখানেও জ্বর-জ্বারি ছিল সাধারণ অনুষঙ্গ। সাত-আটদিন জ্বর। সকালে জ্বর কমে যায়, সকালের অরুচির জলখাবার খেয়ে জ্বরীয় পিপাসায় আকণ্ঠ জল খাওয়ার পরই আবার কম্প দিয়ে জ্বর। বাবা সকালের বেরোবার আগে মাকে বা দিদিদের কাউকে নির্দেশনা দিয়ে যান। সারাদিন লেপ-কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে। ঘন্টায় ঘন্টায় থার্মোমিটার দিয়ে জ্বর মেপে মা লিখে রাখেন একটা কাগজে। মাঝখানে একবার মাথা-ধোওয়া , তীব্র আপত্তি ও কান্নাসহ সাবু-বার্লি গলার্ধকরণ। মাঝে মাঝে দিদিদের কেউ এসে ওষুধ খাইয়ে দিয়ে যায়, দিদিরা স্কুল-কলেজে চলে গেলে মা। ওষুধ বলতে দরিদ্রের শিশি-ঝাঁকানো জল, সাদা সাদা মিষ্টি বড়ি বা পুরিয়া-বন্দি সাদা পাউডার। সেই ওষুধেই জ্বর বাড়া-কমা, সাতদিন বা দশদিনের তীব্র জ্বরের পরও কোনোরকম দুর্বলতা বা শরীরী লক্ষণ না-রেখেই জ্বরের অবসান। যেদিন স্নান ও ভাতের অনুমতি পাওয়া যেত, সেদিন বুকের ভেতরে অন্তর্গত উৎসবের নৃত্য-- আজ ভাত খাওয়ার দিন। সে ভাত তো যে-সে ভাত নয়, জ্বরমুক্ত ভি আই পি-র

টাঁড় পাহাড়ের পদাবলি। মিহির সেনগুপ্ত

Image
টাঁড় সেই স্থান, যেখানে শুধু ঝাঁটি, ঝাড়, জঙ্গল, খাঁ খাঁ ভূমি, পাথর এবং অসম্ভব গরিব মানুষজন। তারা ওই মালভূমির খাঁজে-খাঁজে টিলার গোড়ালিতে কিছু চাষ-আবাদ করে, অথবা আশপাশ অঞ্চলের খনিতে কয়লা, অভ্র, ম্যাঙ্গানিজ এইসব আকর তোলে। যারা এসব কাজে দড় নয়, অত্যন্ত পিছিয়ে পড়া এবং গভীর অরণ্যবাসী গোষ্ঠী, তারা জংলি লতা, গাছের আঁশ-- এইসব দিয়ে দড়ি বোনে, বনের কাঠ চুরি করে হাইরোডের ধারে সাজিয়ে বসে বিক্রি করার জন্য। এইসব রকমারি কাজ করে তারা। সাতঘাটের জল খেয়ে, সাতসতেরো হ্যাপা সেরে এরকম এক স্থানে আমার স্থিতি। এখানে ভূমির চরিত্র বড়ো বিশৃঙ্খলার। এ-ভূমি টাঁড়, তো ও-ভূমি বহিয়ার। টাঁড়ে ভূমি বড়ো রুক্ষ, তথাপি বৃক্ষ সব বনস্পতি। নাবালের ভূমিতে জন্মকর্ম, ডাঙর হওয়া। সেখানে শস্য-শাববক, গাছপালা, বৃক্ষ লক্-লহমায় বাড়ে। তারা শ্যামলিমায় শ্যামল, কান্তিতে কান্ত। টাঁড়ে তা নয়। এখানে বৃক্ষ -বনস্পতির চরিত্র ভিন্ন। তাদের শরীরে কান্তভাব কম। কিন্তু তারাও কি ছায়া দেয় না? দেয়, তবে তফাত আছে। এই তফাতটি প্রকৃতি এবং মানুষের এক নতুন অধ্যায় খুলে দেয় চোখের সামনে। রুক্ষ কঠোর আদিম এই সৌন্দর্য। বিশাল বিস্তার এই ভূখণ্ডের বেশিটাই টাঁড়। কোথাও

'ইন্দুবালা ভাতের হোটেল' আসছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে।

Image
দুই বন্ধু। লেখক- চিত্রনাট্যকার কল্লোল লাহিড়ী, চিত্রপরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্য। 'ইন্দুবালা ভাতের হোটেল'-এর সাথে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে আসছে 'ইন্দুবালা ভাতের হোটেল'।

ইন্দুবালা ভাতের হোটেল। কল্লোল লাহিড়ী

Image
"শুধু এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়া মানুষদের ভিড় বাড়ে। পাসপোর্টে ছাপ পড়ে। বাক্স প্যাটরা নিয়ে ইমিগ্রেশান পার করে মানুষ। এক সময়ে যে দেশটা নিজের দেশ ছিল সেটারই বেড়া টপকায়। প্রত্যেক বছর বৃষ্টি আসে নিয়ম করে দু দেশেই। তবুও সীমান্তের দাগ মুছে যায় না সেই জলে। ওটা ইন্দুবালার দাদুর স্বপ্ন হয়েই থেকে যায়।" ইন্দুবালা ভাতের হোটেল কল্লোল লাহিড়ী প্রচ্ছদ ও অলংকরণ: মেখলা ভট্টাচার্য মুদ্রিত মূল্য: ২৬০ টাকা #সুপ্রকাশ

'নাইনটিন নাইনটি আ লাভ স্টোরি' প্রকাশিত।

Image
আজ ০১.০৭.২২ এ প্রকাশিত হলো 'নাইনটিন নাইনটি আ লাভ স্টোরি'।  আমরা সবাই — লেখক কল্লোল লাহিড়ী, প্রচ্ছদ ও অলংকরণশিল্পী মেখলা ভট্টাচার্য, চিত্রপরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্য।