সিদ্ধিগঞ্জের মোকাম। মিহির সেনগুপ্ত
"বজরা বলে, ডডডড। প্রান্তিক বৃক্ষ আত্মজনেরা বলছেন-- রররর। বলছেন খাড়অ, দণ্ড দুই জিরাইয়া যা। নাও হান বানদ্ মোর শেহরে। যাবি যেন কই? বলি-- যাব সিদ্ধিগঞ্জের মোকামে। বৃক্ষ বলে-- ধীরে সুস্থে যা, দৌড়াইস না। বৃক্ষের কথা শুনে ট্রলার তার শেকড়ের কাছে নামিয়ে দেয়। বৃক্ষ পাতা খসিয়ে সারা গায়ে হাত বুলিয়ে দেয়, আর বলে, তোরা বেয়াকে সুখে থাক। বেয়াক মানুষ সুখী হউক। বেয়াকের ভালো হউক। বালামুসিবৎ দূর হউক।
এখান থেকে ক্যারায়া অর্থাৎ ভাড়া করতে হবে একটি পছন্দমতো ডিঙ্গি। ছই-অলা। তারপর মাঝি জানতে চাইবে-- যাইবেন যেন কই? আমাকে তখন পথের নিশানা বলতে হবে-- গাবখানের খাল ডানহাতি রেখে, বাঁ হাতি কীর্তিপাশার খাল ধরে সোজা, বাঁ কিনারে গ্রাম পড়বে শশীদ অশ্বথ্থ কাঠি, বেউখির। ডান কিনারে সারেঙ্গল পাক মহর, গলুইয়াখোলা, রণমতি, বাউলকান্দা এবং আরও কতসব। সে-সব পেরিয়ে আমার শেষ ঘাট সিদ্ধিগঞ্জে পৌঁছোব।"
সিদ্ধিগঞ্জের মোকাম
মিহির সেনগুপ্ত
প্রচ্ছদ : তিস্তান
সঙ্গে ছবি: পারভেজ সাজ্জাদ মন্ডল
মুদ্রিত মূল্য: ৪৮০ টাকা
#সুপ্রকাশ
Comments
Post a Comment