শৈব্যা কথন। জয়া মিত্র। পাঠ প্রতিক্রিয়া।
সুপ্রকাশ প্রকাশিত জয়া মিত্রের উপন্যাস 'শৈব্যা কথন' পড়ে লিখেছেন শ্রাবণী পাল। আমরা তাঁর অনুমতি নিয়ে নিজেদের টাইমলাইন থেকে শেয়ার করছি।
............................................
🍁বইয়ের নাম - শৈব্যা কথন🍁
✍🏻লেখিকা - জয়া মিত্র
📇প্রকাশক - সুপ্রকাশ
📒প্রচ্ছদ - মেখলা ভট্টাচার্য
💰মূল্য - ১৬০/-
সদ্য পড়ে শেষ করলাম সাহিত্যিক জয়া মিত্রের লেখা ‘শৈব্যা কথন’। এ এক অবহেলিত নারীর কাহিনী। লেখিকার লেখা আগে কখনো পড়া হয়নি,‘শৈব্যা কথন’ উপন্যাসের মাধ্যমেই প্রথম পরিচয় হলো লেখিকার লেখার সাথে। যেহেতু এই বই তে পৌরাণিক কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে, সেক্ষেত্রে লেখিকা শুদ্ধ ভাষার ব্যবহার বেশি করেছেন। এটা বলতেই হয় লেখিকার লেখনীশৈলী ভীষণ ভালো। বইটা শেষ করার পর একটা আলাদাই অনুভূতি ছেয়ে রয়েছে মনের মধ্যে........
এই গল্পে দেখানো হয়েছে «সত্যবাদী রাজা ‘দানবীর’ হরিশ্চন্দ্রের সহধর্মিনীর জীবনের করুণ কাহিনী»। রানী নীজেই তার জীবনের গল্প বলে চলেন এই বই এর মাধ্যমে....
অযোধ্যার রাজা হরিশ্চন্দ্রের স্ত্রী শৈব্যা মহারানীর মতো স্বর্গ সুখের দিন কাটাচ্ছিলেন, এমন সময় হঠাৎ করেই একদিন রাজা তাঁর স্ত্রী শৈব্যাকে টানতে টানতে এনে হাজির করলো বাজারের মাঝখানে। যেখানে রানী শৈব্যাকে ক্রীতদাসী রূপে বিক্রি করতে চাইলেন রাজা।
বাজারের সমস্ত পুরুষেরা শৈব্যার মাথা থেকে পা পর্যন্ত জরিপ করতে লাগলো। এরপর মূল্য নির্ধারণ হলো, এবং এক ব্রাহ্মণ ক্রীতদাসী রূপে রানী শৈব্যা কে কিনে নিলেন। রানী গিয়ে উঠলেন ব্রাহ্মণের বাড়িতে সঙ্গে ছিল তাঁর পাঁচ বছরের পুত্রসন্তান। ব্রাহ্মণ যেহেতু শৈব্যার পুত্রকে ক্রয় করেননি সেই কারণে মাত্র একজনের খাবার দেওয়া হতো শৈব্যাকে। তাই নিয়েই দাসীরূপে অর্ধাহারে, অনাহারে পুত্রসন্তানকে নিয়ে চলা জীবন সংগ্ৰাম এবং শৈব্যার জীবনে হওয়া সমাজব্যাবস্থার অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা এই উপন্যাস ।
যে সকল পাঠক পৌরাণিক কাহিনী পড়তে পছন্দ করেন, তারা এই নারীকেন্দ্রিক উপন্যাসটি পড়ে দেখতে পারেন। এই মূখ্য চরিত্রের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারলে আশা করি নিরাশ হবেন না।
Comments
Post a Comment