এক যে চিল গ্রাম। ইঁদুর সংসর্গের কথামালা
অজ গাঁয়ের প্রচুর ডালপালা-মেলা এক একান্ন চাষি পরিবারে জন্মেছিলাম। সেখানে বড়োরা ছোটোদের জগতে বিশেষ নাক গলাতেন না। ছোটোরাও জ্ঞান হতে না হতেই স্বনির্ভর হয়ে যেত। বড় এবং ছোট – এই দুই মনুষ্য প্রজাতির সঙ্গে মূল বাড়ির ভেতরে অনেক বেশি সংখ্যায় বাস করত ইঁদুর। ছড়ানো-ছিটানো মাটির বাড়ি, মূল বাড়ির আড়াই ফুট চওড়া দেওয়ালে দু-রকম প্রজাতির ইঁদুর মোটামুটি নিরুপদ্রবেই তাদের সংসার নির্বাহ করত। ধেড়ে এবং নেংটি। বাড়ির মেয়েরাই কেবল নেংটিদের কেন যে চুটে উঁদুর বলতেন সেটা আজও আমার কাছে রহস্য। ধেড়েরা ধান-চাল খাওয়া বাদে অন্য কোনোরকম দুষ্টুমির মধ্যে যেত না। কিন্তু নেংটিরা জামাকাপড়, বিছানা-বালিশ, কাগজপত্তর, ব্যাগ-বস্তা, এমনকি ঘুমন্ত মেয়েদের লম্বা চুলেও তাদের দাঁতের ধার পরখ করতে ছাড়ত না। বড়োরা ব্যতিব্যস্ত হয়ে মাঝে মাঝে তাদের দমন করার চেষ্টা করতেন। কিন্তু জাঁতিকল বাদে অন্য কোনো অস্ত্রের কথা তাঁদের মাথায় আসত না। বিষ খুব সহজলভ্যই ছিল, কিন্তু বিষ-মেশানো খাবার ইঁদুর মুখে দেওয়ার আগেই যে খুদে মনুষ্যদের কেউ না কেউ তার স্বাদ নেবেই সে ব্যাপারে তাঁরা অতি-নিশ্চিত ছিলেন। জাঁতিকলে প্রথম প্রথম দু-একটা ধেড়ে ধরা পড়ত ঠিকই; কিন্তু অবিলম্বে সেটাকে এড়িয়ে চলার কৌশল তাঁরা রপ্ত করে ফেলত। আর চুটেদের টিকি ছোঁয়ার সাধ্যিই ছিল না জাঁতিকলের।
বাড়ির ইঁদুর বড়োদের যত শত্রুই হোক, ছোটোদের বিশেষ মাথা ব্যথা ছিল না তাদের নিয়ে। বরং গেছো ইঁদুরেরা তাদের বুকে কাঁপুনি ধরিয়ে দিত রাত্তিরবেলায় টিনের চালে তাণ্ডব নৃত্য করে। তবে তেনাদের চোখে দেখার সৌভাগ্য হয়নি কখনো।
আমার ইঁদুর-সংসর্গের শুরু মেঠো ইঁদুর দিয়ে। আর সেই সম্পর্ক কিছু হেলাফেলার সম্পর্ক নয়, একেবারে চোর-বাটপাড়ের সম্পর্ক! আমাদের স্বনির্ভরতার পাঠ শুরু হতো মাঠে ধান-কুড়ুনো দিয়ে। সেকালে গেঁয়ো বালকদের খাওয়ার বা খেলার সামগ্রী ছিল দেদার। পাকা আম এবং কষটে পেয়ারার স্বাদে অবিশ্বাস্য সাম্য রচনা করতে পারত তারা। ফলে বারোমাসই বিচিত্র সব খাবারে পরিপূর্ণ হয়ে থাকত গাছ এবং মাঠ। তাদের সন্ধানী দৃষ্টির বাইরে থাকার সাধ্যি ছিল না নদীতীরের বালুময় মাটিতে জন্মানো আখের মতো উপাদেয় ঘাস বা কলকে ফুলের বোঁটায় থাকা কয়েক ফোঁটা মধুরও। আবার খেলনা তৈরির কারিগরি বিদ্যা ছিল তাদের জন্মগত। আম-আঁটির ভেঁপুর কথা অপুর কল্যাণে রাজ্যির লোক জানে। কিন্তু বকুলের বিচি থেকে লাট্টু বানানো, নারকেলের মালায় খড়ম, কিংবা আরও উচ্চস্তরের বাঁশ ও কাঠের টুকরো দিয়ে রণপা নির্মাণ যে তাদের কাছে জলভাত ছিল, সে-কথা আর ক’জন জানে? কাজেই স্বনির্ভর হতে তাদের বাকি কী থাকল যে তাদের আবার মাঠে ধান কুড়োতে হবে! তখন তো আর ‘শিলপো শিলপো’ করে দেশসুদ্ধু লোক পাগল হয়ে ওঠেনি, এখন যেমন মেধাবী সব ছেলেগুলোকে সব বিদ্যা ভুলিয়ে দিয়ে অলীক স্বপ্নের ফেরিওয়ালা বানানোর প্রকল্প চলছে, রঙিন বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ করে সুদৃশ্য মোড়কে বিষকেও অমৃত বলে খাইয়ে দেওয়া হচ্ছে বাচ্চাদেরকেও, সেই সময়টা কিন্তু হাজার অভাব সত্ত্বেও তার অপার সন্তুষ্টির জোরে এই প্রতারক প্রলোভনকে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে দেয়নি। তাই বলে কি প্রলোভন একেবারেই ছিল না? ছিল বৈকি! মকর-মেলা, দোলমেলা, চড়ক কিংবা গাজনের মেলা। জিলিপি-গজা-পাঁপড়ভাজাই হোক, বা রঙিন পুতুল, বেলুন-বাঁশি, --- বাচ্চাদের টানত অমোঘ টানে। কিন্তু অভিভাবকদের পয়সা এত সস্তা ছিল না যে তাদের বায়না মেটাতে সেসব খোলামকুচি জ্ঞানে খরচ করবেন। অগত্যা তাদের মাঠে নামতে হত। অঘ্রাণে মাঠের আঁটি-বাঁধা ধান গরুর গাড়িতে উঠে গেলেই আমরা সেখানে নেমে পড়তাম। আঁটি বাঁধতে গিয়ে চাষি-মজুরের হাত ফসকে মাঠেই শুয়ে থাকত কিছু নিঃসঙ্গ ধানশীষ। তীক্ষ্ণ নজরে তাদের উদ্ধার করে নিজের দখলে আনার প্রতিযোগিতায় নান্দনিকতাও থাকত ভরপুর। এই করতে গিয়েই মেঠো ইঁদুরের সঙ্গে আমাদের পরিচয় হয়ে গেল। পূর্বজের অভিজ্ঞতা থেকে আমরাও একদিন পেয়ে গেলাম গুপ্তধনের সন্ধান। মেঠো ইঁদুর পরিপক্ক ধানের শীষ কেটে কেটে নিয়ে গিয়ে মজুত করে রাখত তাদের গর্তে। শীতের শুখা মরশুমে আয়েস করে ভোজন এবং ছানাপোনা পালন চলত সেই সঞ্চিত ভাণ্ডারের ভরসায়। কিন্তু কোদাল হাতে দস্যুর বেশে সেখানে হানা দিলাম আমরা। তবে মেঠোদের খুব সরল প্রাণী ভাবা নেহাতই আহাম্মুকি। কারণ, গর্তটি সামান্য গভীরে ঢুকেই একাধিক শাখায় বিভক্ত হয়ে যেত। তার মধ্যে কোনটি যে ভাণ্ডারে গিয়ে পৌঁছেছে সেটি নির্ভুলভাবে বুঝে নিতে রীতিমত বিশেষজ্ঞতা অর্জনের প্রয়োজন পড়ত। নইলে অন্ধ গলিতে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ত সেই পরিশ্রমসাধ্য অভিযান। নতুন করে অন্য শাখায় অভিযান চালানোর মতো উদ্যম আর অবশিষ্ট থাকত না তখন। মেঠোরা সেই সুযোগে অশেষ তৎপরতায় নতুন সুড়ঙ্গ খুঁড়ে সরিয়ে ফেলত তাদের ভাণ্ডার মায় ছানাপোনাও। এই অভিযানে তাই স্বভাবতই আমাদের স্ব-নির্ভরতা মুখ থুবড়ে পড়ত। সাহায্য নিতে হত বালকবন্ধু কোনো দাদা বা কাকার। গ্রামময় ছড়িয়ে থাকতেন তাঁরা। এতখানি ঝামেলা সত্ত্বেও সদর্থক হয়ে উঠত একটি সফল অভিযান, কারণ একটা গোটা মাঠ সারা বেলা ঘুরে ঘুরে যে পরিমাণ শীষ মিলত, তার থেকে অনেক গুণ বেশি ধান মিলে যেত মেঠোদের একটি মাত্র ভাণ্ডারে। তবে সফল অভিযানের একটা নিষ্ঠুর দিকও ছিল। প্রায়ই দেখা মিলত ভাণ্ডারের পুরু বিছানায় আফোটা চোখের লাল লাল ইঁদুরছানা। পলাতক মাতাপিতার সেই নিঃসহায় সন্তানদের কাকেদের খাদ্য হওয়া ছাড়া গত্যন্তর ছিল না। আর আমরা তাদের ভবিষ্যৎ হরণ করে জমা দিতাম কোনো মা-জেঠিমা-কাকিমার হাতে যিনি সেই শস্য বিপণন করে আমাদের সম্বছরের মেলা দেখার রসদ নগদে জমা করে রাখতেন। তো এই হল আমার ইঁদুরের সঙ্গে সম্পর্ক-সূচনার ইতিবৃত্ত।
তাদের সঙ্গে আমার দ্বিতীয় সম্পর্ক হল বিউটিসিয়ান-ক্লায়েন্ট সম্পর্ক। পাঠশালা-পর্ব সাঙ্গ হতেই উদাসীন অভিভাবকদের কেন যেন ধারণা হল যে এই ছেলেটাকে উচ্চ-শিক্ষার্থে বিদেশে পাঠানো দরকার। সম্ভবত সেই গণকটির ভবিষ্যৎবাণী তাঁদেরকে প্রভাবিত করেছিল যিনি আমার জ্ঞানোদয়ের পূর্বেই আমার ভাগ্য গণনা করে নিদান হেঁকেছিলেন যে এ ছেলে ‘জগদ্বিখ্যাত ডাক্তার’ হবে। আমিও সে কথা শুনে আসছিলাম অন্য সকলের মুখে আমার জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই; যদিও ডাক্তার জিনিসটি কী তা জানা থাকলেও তাঁর দাঁত-ভাঙা বিশেষণটি আমার বোধগম্যতার বাইরে ছিল। একজন ডাক্তারকেই আমরা চিনতাম, গ্যানো ডাক্তার। রোগা-পাতলা এবং ফোকলা মানুষটি আমাদের যাবতীয় অসুখে বাড়িতে এসে একই স্বাদের মিষ্টি মিষ্টি ওষুধ খাওয়াতেন। তাঁর ছবিটি মাথায় রেখেই আমি ভবিষ্যতে নিজেকে বিশাল চেহারার বড় বড় দাঁত-যুক্ত এক ডাক্তার হিসেবে কল্পনা করে ‘জগদ্বিখ্যাত’ রহস্যের কিনারা করে ফেলেছিলাম। তো সেই যে আমি বিদেশে চালান হলাম, তারপর থেকে বাকি জীবনে পাকাপাকিভাবে আমার গ্রামটিতে আর ফেরা হয়নি। দীর্ঘ সময় বোর্ডিং, মেস, হস্টেলে থাকতে থাকতে এমনই বেয়াড়া অভ্যেস হয়ে গিয়েছিল যে চার দেয়ালের মধ্যে ঘুমোতেই পারতাম না, দম বন্ধ হয়ে আসত। তাই বছরে যে দুটো লম্বা ছুটি থাকত, গ্রীষ্মের আর পুজোর, তখন বাড়ি এসে রাত কাটাতাম বারোয়ারি দুর্গামণ্ডপের আটচালায়। সিমেন্টের মেঝেতে মাদুর আর বালিশ পেতে তোফা ঘুম! তখনও পর্যন্ত আমাদের গাঁয়ে দুটি বারণ টিকে ছিল। প্রথমটি জুতো, সেটি অনভ্যাসজনিত বারণ; আর দ্বিতীয়টি লুঙি, সেটি পৈতেধারী মুরুব্বিদের ভ্রুকুঞ্চনজনিত বারণ। আমার পা প্রথম জুতোবন্দী হয় আমার বিদেশ-যাত্রার লগ্নে। কিন্তু ছুটিতে বাড়ি এসেই আমার প্রথম কাজ ছিল জুতোজোড়াকে দৃষ্টি-নিরোধক কোন স্থানে গচ্ছিত করে দেওয়া। সেই অভ্যাস আজ পর্যন্ত অক্ষুণ্ণই আছে। খালি পায়ে দু-চার দিন গাঁয়ের রাজপথে হাঁটাহাঁটি করলেই গোড়ালির চামড়া করাতের দাঁতের মতো উন্মুক্ত হয়ে যেত। তো ধুতিকে দু-ভাঁজ করে লুঙির মতো করে পরে চারদিক খোলা আটচালার সেই রাজশয্যায় শোয়ার সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণের মাঠ বেয়ে খালের জল-ছোঁয়া ঠান্ডা হাওয়া ফুরফুর করে আমাকে আদর করতে শুরু করত। সামান্য মাত্র অসুবিধে, আমার গোড়ালির করাত-দাঁত মাদুরের সঙ্গে ফেভিকলের আঠা হয়ে জুড়ে যেত। উঠতে গেলে বিপত্তি। এই সময়েই আমার জীবনে বিউটিসিয়ানের ভূমিকায় ইঁদুরের পুনঃপ্রবেশ। তবে তারা মেঠো না কি গেছো, তা বলতে পারব না। কারণ তাদের সঙ্গে আমার শুভদৃষ্টি-যোগ হয়নি কখনও। প্রথম রাতের মিঠে হাওয়া শেষ রাতে হিমেল হয়ে উঠলে নিজের অজান্তেই পরনের ধুতি ঊর্ধ্বাঙ্গে উঠে পড়ত। আদুড় পা-দুটি সামান্য উত্তাপের আকাঙ্ক্ষায় নিজেদের মধ্যে গা-ঘষাঘষি করার উপক্রম করতেই গোড়ালিদ্বয়ে মৃদু জ্বলন। কী হল? ঘুমঘোর নিমেষে উধাও। উঠে বসে গোড়ালিতে হাত বুলিয়ে দেখি, করাত-দাঁত অদৃশ্য! সে-জায়গায় মসৃণ পেলবতা। ভোরের আবছা আলো তখন পায়ে এসে পড়েছে। প্রথমেই মনে হল, রাতের অন্ধকারে কেউ যেন আমার গোড়ালিতে যত্ন করে আলতা পরিয়ে দিয়ে গেছে। আলো একটু পরিষ্কার হতে বোঝা গেল, কোনো সার্জনের দক্ষ হাত গোড়ালির চামড়ার বাইরের আবরণ(ডাক্তারি পরিভাষায় যার নাম এপিডারমিস)-টুকু চেঁছে ফেলে দিয়েছে। আলতা আসলে আলতা নয়, ডারমিসের রক্তাভা। ভোরবেলায় বাসি মুখে ভাবতে বসলাম, কে করল এমন কাণ্ড – বিন্দুবিসর্গ টের পেলাম না! কার এমন দক্ষ হাত? নিমের দাঁতন চিবোতে চিবোতে নিতাইকাকা এসে আমাকে উদ্ধার করলেন। --- ধুর বোকা, হাত লয় – দাঁত। উঁদুরে খেয়ে লিয়েছে মরা চামড়া।
এই হল ইঁদুরের সঙ্গে আমার বিউটিসিয়ান-ক্লায়েন্ট সম্পর্ক। সেই শেষ নয়, তারপরেও বেশ কয়েকবার মরা চামড়ার মতো সামান্য খাদ্যের বিনিময়ে ইঁদুর আমার পেডিকিওর সম্পন্ন করে দিয়ে গেছে। চোর-বাটপাড় এবং ক্লায়েন্ট-বিউটিসিয়ান সম্পর্কের মধ্যবর্তী পর্বে ইঁদুরের সঙ্গে আমার আর একটি ভিন্ন মাত্রার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তবে সেই সম্পর্কে ইঁদুর সশরীরে উপস্থিত ছিল না। ছিল তার নামটুকু।
তখন আমি তের-চৌদ্দ। অষ্টম শ্রেণি। স্কুল বোর্ডিং-এ থাকি। আমার ক্লাসেই ছিল সুনীল। সে স্থানীয় ছেলে, নিজের বাড়ি থেকেই স্কুলে আসে। একদিন হঠাৎ দেখি সে একান্তে আমাকে ইঁদুর বলে ডাকছে। আমি রাগ করতে পারছি না, কারণ তার সেই ডাকের কোমলতা আমার মনে এক অনাস্বাদিত শিহরণ জাগিয়ে তুলছে। ক্লাসের ফাঁকে, টিফিন-সময়ে সে আমার কাছে কাছেই থাকত। একদিন বলল, --তোর মুখটা আমার খুব ভালো লাগে।
আমার মুখ তো তেমন সুন্দর নয়, তবে আমি ক্লাসের সেকেন্ড বয়। সেই চিন্তায় জিজ্ঞেস করলাম, --আর প্রবীরের মুখ?
প্রবীর ক্লাসের অবিসংবাদিত ফার্স্ট বয়। সুনীল বলল, --ওরটা মাঝে মাঝে ভালো লাগে। তোরটা সব সময়।
সেদিন বুঝিনি, আজ বুঝি সেটা ছিল বয়ঃসন্ধির জাগরণ। শরীর-মনের এক অপরূপ ক্রিয়া। সেই বয়সটাতে শরীরের আগে আগে মন জাগে। মনের সেই জাগরণে বানভাসি তীব্রতা। বিপরীত লিঙ্গের পাত্র বা পাত্রী পাওয়ার জন্যে তার তর সয় না। একে বলে ‘ক্রাশ’ – সে যেন সম্মোহনের এক বিপুল ঝটকা!
সুনীল চলে গেছে বহু বছর আগেই, কিন্তু তার ‘ইঁদুর’ ডাকটি বুকে বিঁধে রয়েছে আমার বুকের মধ্যে।
.......................................
এক যে ছিল গ্রাম
অর্দ্ধেন্দুশেখর গোস্বামী
.......................................
প্রচ্ছদ : সুলিপ্ত মণ্ডল
অলংকরণ : অদ্বয় দত্ত
মুদ্রিত মূল্য : ৩২০ টাকা
সুপ্রকাশ
Comments
Post a Comment