Posts

Showing posts from December, 2024

নষ্ট চাঁদের আলো।। অলোক সান্যাল।। পাঠপ্রতিক্রিয়া।।

Image
সুপ্রকাশ প্রকাশিত অলোক সান্যালের উপন্যাস 'নষ্ট চাঁদের আলো' পড়ে লিখেছেন রক্তিম সরকার। আমরা তাঁর অনুমতি নিয়ে নিজেদের টাইমলাইন থেকে শেয়ার করছি। ................................................................... #bookreview  #বই : নষ্ট চাঁদের আলো  #প্রকাশক : সুপ্রকাশ প্রকাশনা  #দাম : ৫৯০ টাকা #পৃষ্ঠা : ৩৯৭ #প্লট সমান্তরাল গল্প চলবে, একটা বর্তমান সময় ও একটা পিরিয়ডিকাল এবং উপন্যাসের স্থান ইউরোপ ও আমেরিকা। চরিত্রগুলোও বিদেশী। এখানে কেন্দ্রীয় চরিত্র এমা একটা প্রজেক্ট করছে যেটা অতীতের কোনো ঘটনাকে খুঁজে বের করা। 🌿 উপন্যাসের স্ট্রাকচার পুরোপুরি সমান্তরাল গল্পের থিওরি মেনে, অর্থাৎ একটা চ্যাপ্টার এখনকার ও একটা অতীতের। 🌿 জট পেকেছে অতীতে সেটা খুঁজে বের করা হচ্ছে এই সময়ে। 🌿 এই থ্রিলারের বেশিরভাগটাই ইনভেস্টিগেশন। 🌿 এমা, চার্চের ফাদার এছাড়া কিছু পিরিয়ডিকাল চরিত্র বেশ ভালভাবে তৈরি হয়েছে। 🌿 সুদীর্ঘ উপন্যাস, যেটা বেশ উপভোগ্য হয়ে উঠেছে। এবং প্লটের মূল কনফিল্ক্ট কিছুটা হলেও হিউম্যান ট্রাফিকিং। 🌿 শীতের এই মরসুমে হাতে তুলেই নিতে পারেন এই থ্রিলার।

শেষ মৃত পাখি।। শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য।। পাঠপ্রতিক্রিয়া।।

Image
সুপ্রকাশ প্রকাশিত শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য্যর উপন্যাস 'শেষ মৃত পাখি' পড়ে মতামত জানিয়েছেন তৃণময় সেন। আমরা তাঁর অনুমতি নিয়ে নিজেদের টাইমলাইন থেকে শেয়ার করছি। ............................................................... #পাঠানুভূতি #শেষ_মৃত_পাখি "সে কি রাত্রির শেষ মৃত পাখি, যার স্মৃতি আঁচড়াল মৃত্যুর ঘন ছায়ায় দেবযান ভয়ের মতন মৃদুসঞ্চারী স্বপ্নের পিছু নিতে? স্বপ্নের মত আয়ু চলে যায়, কখনো বা দ্রুত, কখনো বিলম্বিতে।" লেখালেখিতে মোটেই মন বসে না আজকাল। কারণ অনেক কিছুই আছে, সেটা নিয়ে ঘ্যানঘ্যান নাই বা করলাম। কিন্তু মন যে বসে না সেটাই মোদ্দা বা লাখ কথার এক কথা। তবে এই রিভিউ লেখারও কারণ একাধিক। তার মধ্যে একটা হলো প্রায় গায়ে পড়ে Sumona -র কাছ থেকে বইটা উপহার নিয়েছি। কথাও দিয়েছি মতামত জানাবো। তারপরেও পড়েটড়ে ঘাপটি মেরে বসে থাকতে ইচ্ছে করছিল না। তাছাড়া রহস্য উপন্যাস আমি এর আগে পড়েছি বলে মনে পড়ে না। তাই মার্ডার মিস্ট্রি পড়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাইছিলাম। গত কয়েক বছরে নানান জায়গায় শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য্যের এই বই নিয়ে মাতামাতি চোখে পড়েছে। আকর্ষণ জেগেছে বইয়ের মনকাড়া প্রচ্ছদ দেখেও। র...

বীরেশ্বর সামন্তর হত্যা রহস্য।। শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য।। সুপ্রকাশ।। পাঠপ্রতিক্রিয়া।।

Image
সুপ্রকাশ প্রকাশিত শাক্যজিৎ ভট্টাচার্যর উপন্যাস ' বীরেশ্বর সামন্তর হত্যা রহস্য ' পড়ে লিখেছেন দীপ মাহান্তী । আমরা তাঁর অনুমতি নিয়ে নিজেদের টাইমলাইন থেকে শেয়ার করছি।  ................................. উফ্! উফ্! উফ্!  কী পড়লাম!  কী পড়লাম!   বহুকাল হলো এইরকম লেখা আমি পড়িনি।  শেষ এইরকম উপন্যাস পড়েছি মণিশংকর দাদার “কালু ডোমের উপাখ্যান”। আর আজকে পড়ে শেষ করলাম “ বীরেশ্বর সামন্তর হত্যা রহস্য”  ___________________________________ বহুদিন ধরে এই বইটি পড়ার ইচ্ছে ছিল কিন্তু ওই যে যখন আমি লিখি তখন কারো বই পড়িনা। আর আমার লেখালেখি চলছিল ছয়মাস ধরে। লেখা শেষ হতেই শুরু করলাম একটার পর একটা উপন্যাস পড়া এবং তারপর শুরু করি “বীরেশ্বর সামন্তর হত্যা রহস্য” ____________________________________ গায়ে জ্বর,গলা বসে আছে গত চারদিন। কথা অবধি বলতে সমস্যা হচ্ছে, তবুও আমি রাত জেগে পড়ে চলেছি “ভীষ্ম বাগাল” কে। হ্যাঁ ভীষ্ম বাগালই খুন করেছিল “বীরেশ্বর সামন্ত” কে। কিন্তু কেন করেছিল খুন?  কেন এক অন্ধকার বৃষ্টিস্নাত রাত্রে গলায় দড়ি দিয়ে টেঙে দিয়েছিল “বীরেশ্বর সামন্ত” কে ভীষ্ম বাগালের শাখাপ...

এক যে ছিল গ্রাম। বাগাল গুরুর পাঠশালা

Image
পাঠশালায় বড়ো পনশয় - এর ভয়টা অন্য পড়ুয়াদের মতো আমার বুকেও অনেকদিন চেপে বসেছিল । সেই সময় দৈবাৎ একদিন অন্য একটা পাঠশালার সন্ধান পেয়ে গেলাম । আমাদের বাগাল বদনাকে দেখতাম রোজ সকালে আমদের বাড়ির গরু - মোষ নিয়ে বেরিয়ে যায় । সে আমার থেকে এমন কিছু বড়ো নয় , অথচ তার কত মজা ! ইস্কুলে যেতেই হয় না । সারাদিন গরু - মোষ নিয়ে জঙ্গলের ধারে ঘুরে বেড়ায় । এক সকালে আমি তার পিছু নিলাম । বদনা বলল , – কুথায় যাবে ? আমি বললাম , – তোর সঙ্গে । গরু চরাতে । বদনা খানিক ভাবল । তারপর বলল , – এখন লয় । বইদপ্তর লিয়ে ইস্কুলে বেরাবে । তারপরে ইস্কুল না যেয়ে আমার থানে চলে আইসবে । নাইলে গলা ( মালিক )- রা জাইনতে পারবেক আর তুমাকে ধরে লিয়ে আসবেক । ভাবলাম ঠিকই তো ! ইস্কুলে যায় না বলেই বদনার এতো বুদ্ধি ! বইদপ্তর নিয়ে হাজির হলাম বদনার গোঠে । সে আমাকে একটা কাড়া ( পুরুষ মোষ ) র পিঠে চাপিয়ে দিল । বলল , – ইয়ার নাম কালী । খুব শান্ত । ছুটবেনি কখনও । খুব মিষ্টি স্বভাব কালীর । ভীষণ ভাব হয়ে গেল তার সঙ্গে । প্রায় সারাদিন তার পিঠেই থাকি । দুপুরে তাকে খালের জলে নামাই । সে জলে বসে পড়ে । আমি খড়ের ছোবড়া দিয়ে ঘষে ঘষে তাকে...

এক যে ছিল গ্রাম। ডাকাতি

Image
  আমার জন্মের অনেক আগে , আনুমানিক ১৯৪৫ সালে আমাদের বাড়িতে একটা ভয়ঙ্কর ডাকাতি হয়েছিল । ছোটবেলা থেকেই সেই গল্প আমি বারবার প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে শুনে আসছি । কখনও মা , কখনও কাকিমা - জেঠিমা , কখনও বড়দি , কখনও বা গ্রামের কোনো বয়স্ক মানুষ সেই গল্পের কথক । কথক অনুসারে সেই গল্পের রূপ কিছুটা বদলে বদলে গেলেও , মূল গল্পটা প্রায় একই ছিল । সেটা নিয়ে আমি একটা গল্পও লিখেছি । গল্পের নাম ‘ মাছি ’ । ইংরেজ আমলের ডাকাতির গল্পে ‘ মাছি ’ শব্দের একটা বিশেষ তাৎপর্য আছে । সেটা যারা জানেন তাঁরা জানেন , যারা জানেন না তাঁরা এই লেখার শেষে জেনে যাবেন ।   আমার লেখা - গল্পে মূল ঘটনার উপরে যথেষ্ট রঙ চড়িয়ে আমি মাছি শব্দটিকে নতুন দ্যোতনা দেওয়ার চেষ্টা করেছি । কিন্তু এখন লোকমুখে শোনা ঘটনাটিকে কেবল সাজিয়েগুছিয়ে সাদামাটা ভাবে বর্ণনা করব ।   তবে তার আগে ইংরেজ আমলের ডাকাতির কথা একটু বলে নিই । কেন ইংরেজ আমল ? তার আগে কি ডাকাতি ছিল না ? অবশ্যই ছিল । কিন্তু তখন গায়ের জোরে কেড়ে নেওয়া সমাজসিদ্ধ ছিল বলে সেটাকে ডাকাতি বলা যাবে না । ডাকাতি ব্যাপারটা জনপ্রিয় হতে থাকে কোম্পানির আমল থেকে । সেই জনপ্রিয়ত...