ইন্দুবালা ভাতের হোটেল। কল্লোল লাহিড়ী

 বাবা আসতে চাননি কলকাতা ছেড়ে। তাঁর কাছে তখন নতুন দুটো ভূখণ্ড-- ভারতবর্ষ আর পাকিস্তান। বাবা থেকে যেতে চেয়েছিলেন ভারতবর্ষে আর দাদু চেয়েছিলেন যে গ্রামের মাটিতে তাঁর বাবা, মা, পূর্বজরা পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে আছেন, যে নদীর জলে ডুব দিলে জীবনে শান্তি পাওয়া যায়, সেই কলাপোতায়। তখনও হয়তো তিনি মনে মনে বিশ্বাস করতেন, এটা মানুষের সাময়িক ভ্রম। দেশনেতাদের অলীক কল্পনা।

"দেশ কখনও ভাগ করা যায় নাকি এটা কি তোমার লাউটা, মুলোটা, কাটলেই ভাগ হয়ে গেল ?"

সামনের বর্ষার দিকে তাকিয়ে থাকতেন তিনি।
"বৃষ্টির জলে ধুয়ে যাবে দুই দেশের সীমানা। তখন দেখো আবার আমি কেমন করে শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে করে স্টেশনে নামি। বাড়ির দোরে এসে ডাক দিই... কোথায় ব্রজের মা...? হাতের ব্যাগখানা ধরো দেখি। তোমার জন্য বড় বাজারের মশলা আর ভীম নাগের সন্দেশ আছে।"

বর্ষার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে দাদুর চোখে ছানি পড়েছিল। কিন্তু দুটো দেশ জোড়া লাগেনি।

ইন্দুবালা ভাতের হোটেল
কল্লোল লাহিড়ী

প্রচ্ছদ ও অলংকরণঃ মেখলা ভট্টাচার্য

#সুপ্রকাশ

Online: https://thinkerslane.com/?product=indubala-bhater-hotel


Comments

Popular posts from this blog

বাংলায় স্মৃতির পেশা ও পেশাজীবীরা ১।। সম্পাদনা : সুজন বন্দ্যোপাধ্যায়।।

সময় ভ্রমণ।। দার্জিলিং : পাহাড়-সমতলের গল্পগাছা।। সৌমিত্র ঘোষ।।

সময় ভ্রমণ।। সৌমিত্র ঘোষ।।