ইন্দুবালা ভাতের হোটেল। কল্লোল লাহিড়ী

 ইন্দুবালা ভাতের হোটেল সম্পর্কে প্রকাশকের পক্ষ থেকে

----------------------------------------------------------------------
ইন্দুবালা আমাদের বিগত প্রজন্মের। দেশ-ভাগের সময়বলয়ের জাতক যাঁরা। যাঁরা আমাদের ভুলে যাওয়া দেশের বাড়ির দরজা। বরিশাল কিংবা খুলনার খাল-বিলে ঘেরা স্বপ্নরাজ্য থেকে আধপেটা খাওয়ার খাদ্য-আন্দোলনের শহরে যাঁদের নির্বাসন।

দু বাংলাকে ধরে রাখেন তাঁরাই। কেউ রান্নায়, কেউ বরিশালি চান্দ্রদ্বীপি কথার টানে।

পূর্ব পাকিস্তান যেদিন হলো বাংলাদেশ, সেদিনই ছেনু মিত্তির লেনে প্রথম আঁচ পড়লো ইন্দুবালা ভাতের হোটেলে। এই উপন্যাসে ছেনু মিত্তির লেনের ইন্দুবালা ভাতের হোটেল ছুঁয়ে আছে এক টুকরো খুলনা আর আমাদের রান্নাঘরের ইতিহাস– মন কেমনের গল্প।

ইন্দুবালার ঠাকুরদার মধ্যস্থতায় লেখক যখন বলেন, "দ্যাশ কি লাউটা না কুমড়োটা যে ভাগ করলিই হলো" , তখন তা পুরো বাঙালির কথন হয়ে ওঠে। আসলে এ উপন্যাসটি পুরোটাই বাঙালির কথন– ইন্দুবালার মধ্যস্থতায়। ইন্দুবালার স্মৃতি আর বর্তমানের ক্যালাইডোস্কোপে কল্লোল মুন্সীয়ানায় বুনতে পারেন একটা বিরাট সময়কে।– সেই কথন ছুঁয়ে থাকে আমাদের রান্নাঘর– পোস্ত ছিটানো কুমড়ো ফুলের বড়া, বিউলির ডাল, ছ্যাঁচড়া, চন্দ্রপুলি, চিংড়ির হলুদ গালা ঝোল, চুসির পায়েস আর আম তেল মাখামাখি হয়ে।

এই বইয়ের জন্য একটি প্রচার-পুস্তিকা আন্তর্জালে বিতরণ করা হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে--- 'ইন্দুবালা ভাতের হোটেল' পড়ার ভূমিকা-পুস্তিকা। বহু পাঠক এ উদ্যােগকে স্বাগত জানিয়েছেন। যাঁরা পাননি, এখান থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেনঃ
https://drive.google.com/file/d/1KeEk8Xtwz5dA5TktLwUhQIR5EBscUhtF/view


Comments

Popular posts from this blog

বাংলায় স্মৃতির পেশা ও পেশাজীবীরা ১।। সম্পাদনা : সুজন বন্দ্যোপাধ্যায়।।

সময় ভ্রমণ।। দার্জিলিং : পাহাড়-সমতলের গল্পগাছা।। সৌমিত্র ঘোষ।।

সময় ভ্রমণ।। সৌমিত্র ঘোষ।।