বাঙালির রান্না: আত্মীকরণের বৃত্তান্ত। আলাপ বিলাপ। স্বপ্নময় চক্রবর্তী
খ্যাতনামা দন্ত চিকিৎসক বারীন রায় নিরানব্বইয়ের মার্চ মাসে নেমতন্ন করে বেশ কয়েকজনকে দুপুরে খাইয়েছিলেন। যাকে বলে লাঞ্চে ডাকা। তিনি একটা মেনুকার্ড করেছিলেন। এইরকম--
তাজা রুই তেলে ভাজা
গাছ পাঁঠা আরও তাজা
ধোকা যদি খেতে চাও
দইমাছ? পাবে তাও
ভেব নাকো খাবে কাল
পাবদার আছে ঝাল
দশরথের দুর্দশা
কুক্কুট পাবে কষা
লাউচিংড়ি, লাউডগা পোস্ত
কুমড়ো ফুল চোস্ত
আরও আছে বাসমতী চাল অড়হর ডাল
চাটনিতে পাবে আম
কুলপিতে পাকা আম
পান খেয়ে এসো তবে
ফের কবে দেখা হবে
📕
কুচবিহারের রাজকন্যা সুকৃতি দেবীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কন্যা স্বর্ণকুমারী দেবীর একমাত্র পুত্র জ্যোৎস্নাময় ঘোষালের। ১৮৯৯ সালে। সেই বিয়ের ভোজের মেনু ছিল এরকম। রাধাবল্লভী, লুচি, মোহন-লুচি, খাস্তাকচুরি, মটরশুঁটির কচুরি, সিঙ্গাড়া, নিমকি, জিরের ডাল চাকতি, ছোকা, ডাল, আলু পটলের দম, পটলের দোলমা, মাছের কাটলেট, চিংড়ির মালাইকারি, তপসে ভাজা, মাছের কচুরি, মাছের মুগমনোহর, দই-রুই, পোলাও, খাসির মাংসের কোর্মা, শাক-মাংস, মাংসের রসগোল্লা, কোফতাপলান্ন, গুলেল কাবাব, কমলা-মাংস, দইবড়া, পাঁপড়, পাঁচ রকমের চাটনি, নানা রকমের মোরব্বা ইত্যাদি। এবার মিষ্টির পালা। দইক্ষীর, রাবড়ি, ছানার পায়েস, ক্ষীরকমলা, ক্ষীরতুষার, সন্দেশ সাত রকমের। যেমনঃ মনোহর, তালশাঁস, ক্ষীরপুলি, গোলাপি পেঁড়া, যতোদ্ধমতি ততোশজয়, কাঁসনিদানা, আবার খাবো।
📕
কৃষ্ণনগরের মহরাজকুমার সৌরীশচন্দ্র রায়ের পাকাদেখা উপলক্ষ্যে ১৯৪৭ সালের যে বিরাট মেনু, তাও রয়েছে এই নিবন্ধে। রয়েছে খাদ্যের খোঁজ মনসামঙ্গল থেকে পদ্মপুরাণে।
'বাঙালির রান্নাঃ আত্মীকরণের বৃত্তান্ত'-এর অংশ।
আলাপ বিলাপ
স্বপ্নময় চক্রবর্তী
মুদ্রিত মূল্যঃচারশো টাকা
#সুপ্রকাশ
অনলাইন অর্ডার লিঙ্কঃ https://thinkerslane.com/?product=alap-bilap
বাংলাদেশে বইটি পেতে সুপ্রকাশের নাম করে নোকতা(বুবুক), তক্ষশিলা বা বাতিঘরে অর্ডার দিতে পারেন।
বাংলাদেশে বইটি পেতে সুপ্রকাশের নাম করে নোকতা(বুবুক), তক্ষশিলা বা বাতিঘরে অর্ডার দিতে পারেন।
Comments
Post a Comment