উড়নচণ্ডীর পাঁচালি।। সমরেন্দ্র মণ্ডল।। সুপ্রকাশ
না, কলেজ স্ট্রিটের কফি হাউস নয়। এ ছিল কৃষ্ণনগর জজ কোর্টের মোড়ে লেখরাজদার চায়ের দোকান। আমরা বলতাম কফি হাউস। কেননা, নামে চায়ের দোকান হলেও, চরিত্রে ছিল কফি হাউস। আড্ডার মেজাজও ছিল তেমনি। পাওয়া যেত মাখন টোস্ট। দুধের সরের টোস্ট, ডিম টোস্ট, অমলেট। আর চা তো ছিলই। আমরা ছিলাম চা বিলাসী। কখনো-সখনো দুটো চা চার-পাঁচজন ভাগ করে খাওয়া। কারণ, তখন আমাদের পকেটের অবস্থা ছিল নিদারুণ দুখী, এখনকার বয়ানে দারিদ্র্যসীমার নীচে।
লেখরাজদার দোকানটা ছিল ইংরেজি এল অক্ষরের মতো। দু-দিকে দুটো লম্বা টেবিল। টেবিলের দু-দিকে দুটো বেঞ্চ। বাইরের দিকে যাওয়ার রাস্তায় দু-পাশে আরও দুটো ছোটো বেঞ্চ। ভেতরের দিকে টেবিলে আমরা বসতাম। মূলত সন্ধের পর আড্ডা জমত। রবিবার বা ছুটির দিনে দু-বেলা। দুটো টেবিলের পালিশ ক্রমশ কালো রঙের হয়ে গিয়েছিল। যে টেবিল থেকে রাস্তা দেখা যেত, তারই একপ্রান্তে লেখরাজদা ক্যাশবাক্স নিয়ে বসে থাকতেন। দোকানে একজন কর্মচারী থাকত, সে-ই চা করত। ডিম টোস্ট করত। বৃদ্ধ লেখরাজদা ক্যাশবাক্স আগলে রেখে চারদিকে নজর রাখতেন। তাঁকে কখনো রাগতে দেখিনি। খুব উঁচুস্বরে কথা বলতেন এমনও নয়। প্রাচীন বৃক্ষর মতো তিনি অবলোকন করে গেছেন বিচিত্র মানুষের বিচিত্র চরিত্র। শহর বা শহরের বাইরের বহু নামি মানুষ ওই দোকানে এসে এক গেলাস চা পান করে গেছেন। ছোটো কাচের গেলাসে তখন চা দেওয়া হতো। এখনও কোনো কোনো দোকানে এই ব্যবস্থা রয়ে গেছে।
তা, ওই লেখরাজদা যে টেবিলে বসতেন, সেখানে নিয়মিত আসতেন দুই রবিদা। পদবি আজ আর মনে নেই। দু-জনেই সরকারি কর্মচারী ছিলেন। একজন মাঝারি মাপের, অন্যজন দীর্ঘাঙ্গ। এঁরা আসতেন সকালের দিকে। দু-জনে মুখোমুখি বসতেন। দু-গেলাস চা নিয়ে কোনো বিষয়ে নিয়ে শুরু হতো আলোচনা, তারপর তুমুল তর্ক। এবং তর্কের শেষে ঘড়ি দেখে উঠে যেতেন। সন্ধের সময় সাড়ে সাতটা নাগাদ আসতেন, রাত ন-টা পর্যন্ত তর্ক পর্ব সমাধান করে উঠে যেতেন। এই টেবিলে প্রায়শই আসতেন নাটকের মানুষজন। তাঁরা নাটকের কথাবার্তা বলে চলে যেতেন। কখনো কখনো শহরের দু-একজন মান্যজনকেও আসতে দেখা যেত। এক সন্ধ্যায় মাথাভরতি কোঁকড়া চুল, ফর্সা দেখতে সাদা শার্ট গায়ে এক ভদ্রলোক এলেন। কারো সঙ্গে এসেছিলেন, নাকি একাই এসেছিলেন, আজ আর মনে নেই। পরিচয় হল। তিনি চিত্রপরিচালক শচীন ভট্টাচার্য। কৃষ্ণনগরের জামাই। বোঝা গেল, লেখরাজদার দোকানে তাঁর আগমন আগেই ঘটেছে। তবে হয়তো আমাদের ঠেক গড়ার আগেই। তখন তাঁর উত্তম-অঞ্জনা অভিনীত ‘রৌদ্রছায়া’ ছবিটা মুক্তি পেয়েছিল। মারকাটারি চলেছিল ছবিটা। পরে আরও ছবি করেন, কিন্তু পাবলিক খায়নি।
অন্য টেবিল, যেটা ভেতরের দিকে ছিল, সেটায় বসতাম আমরা। অবশ্য, অন্য খরিদ্দার বসে থাকলে, আমাদের একটু এদিক-ওদিক করে বসতেই হতো। আমাদের মতো উড়নচণ্ডীদের জন্য তো আর লেখরাজদার ব্যাবসা মার খেতে পারে না। আমাদের সকাল-সন্ধ্যার আড্ডায় নিয়মিত ছিল স্নেহাশিস শুকুল। অসম্ভব ভালো কবিতা লিখত। সাতের দশকে ‘প্রাশ্নিক’ নামে একটা মিনি পত্রিকা বের করে। তখন সে কৃষ্ণনগর কলেজে পড়ত সংস্কৃত নিয়ে। পরে কলকাতা থেকে পত্রিকাটা বের হতে থাকে। সে যখন স্কটিশ চার্চ কলেজে পড়ত, সেই কলেজের বন্ধু বরেন ভট্টাচার্য আর হেমন্ত আঢ্যর সঙ্গে ‘প্রাশ্নিক’ বের করত স্নেহাশিস। ওই পত্রিকাতেই পড়েছিলাম স্বর্ণ মিত্রর গল্প। পরে ছদ্মনামের খোলস ছেড়ে স্বনামেই লিখত উৎপলেন্দু চক্রবর্তী। পরে অবশ্য গল্পের উঠোন ছেড়ে সিনেমা তৈরিতেই মন দেয়। উৎপলেন্দু ‘চোখ’ ছবি করার পরেই বিখ্যাত হয়ে ওঠে। ঠিক সেইসময় তার সঙ্গে আলাপ। সূত্রটা ছিল কাগজের অফিসের চাকরি। পরে নানা কথায় ‘প্রাশ্নিক’ প্রসঙ্গ থেকেই ওর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ল। সম্পর্কটা ‘তুই’ পর্যায়ে চলে যায়। ওর ‘দেবশিশু’র পর একদিন জিজ্ঞাসা করলাম, গল্প লিখছ না কেন?
বলল, আগে কেউ আমার লেখা ছাপতে চাইত না। এখন একটু নাম করেছি তো। এখন সকলেই গল্প চাইছে। দু-একটা কাগজ ছাড়া কোথাও লিখব না ঠিক করেছি।
—স্বর্ণ মিত্রকে মেরে ফেললে?
—আরে, স্বর্ণ মিত্র নামে লিখলে ওরা ছাপবে না। ওরা উৎপলেন্দু চক্রবর্তীর গল্প চায়। আমার নামটা নিয়ে ব্যাবসা করবে।
কয়েকটা ছবি করার পর তো অসুস্থ হয়ে পড়ল। ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়ে একাকী বসবাস করছে।
হ্যাঁ, বলছিলাম স্নেহাশিসের কথা। লেখরাজদার দোকানে তরুণ কবিদের মধ্যমণি হয়ে রইল সে। বাড়িতে সে একা থাকত। বাপ-মা-ভাইয়েরা থাকত অন্যত্র। ফলে, সে অনেকটা সময়ই দোকানে কাটাত। অনেক সময় দেখেছি সে একাই বসে আছে।
তখন তো সকলেই পড়াশুনো করছে। একা আমি সদ্য কলেজ ছেড়ে চাকরির দরখাস্ত লিখছি। সন্ধের সময় আড্ডার সঙ্গী বাড়ত। কে কখন, কীভাবে এসেছিল মনে নেই, তবে নতুন পল্লি থেকে আসত মহাদেব। মহাদেব সাহা। গল্প লিখত। আসত নন্তু দে। লিখত না, পড়ত। মহাদেব বের করত ‘আজ’ পত্রিকা। অবশ্য ‘আজ’ প্রথম বের করে মহাদেব, শ্যামাপ্রসাদ বিশ্বাস আর নারায়ণ নামে এক যুবক। ওরা তিনজন কয়েকটা সংখ্যা বের করার পর মহাদেব একাই বের করত। ওদের পাড়ারই নন্তু ছিল প্রকাশক। পরে অলিখিতভাবে আমি আর স্নেহাশিস জুটে গিয়েছিলাম।
লেখরাজদার দোকানে আরেক নিয়মিত সদস্য ছিল শরীফ। এস এম শরীফ। ইংরেজি নিয়ে পড়ত কৃষ্ণনগর কলেজে। ভালো গল্প লিখত। আসত গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়। সেও কৃষ্ণনগর কলেজে পড়ত। পরে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চলে যায়। আর ছিল সুবীর। সুবীর সিংহরায়। সে হাজারিবাগ কলেজে পড়ত। গৌতম, শরীফ আর সুবীর বের করত ‘অনুস্বর বিসর্গ’ পত্রিকা। আসত সুশীত। পদবিটা মনে নেই। তার ঝোঁক ছিল প্রবন্ধ লেখায়। পরবর্তী সময়ে এদের অনেকেই লেখার ভুবন থেকে সরে যায়। মহাদেব পুরোপুরি ব্যবসায়ী হয়ে ওঠে। ও নাটকও করত। নাট্যচক্র দলে। ব্যাবসার চাপে লেখার জগৎ থেকে সরে যেতে হয়, কিন্তু অনেকদিন পর্যন্ত নাটকের সঙ্গে জড়িত ছিল। শরীফও জেলা পরিষদে চাকরি পাওয়ার পর লেখার জগৎ থেকে অপস্রিয়মাণ হয়। কিন্তু, লেখক বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়ও বাইরে চলে যায়। এসব কারণে ‘অনুস্বর বিসর্গ’, ‘আজ’ বন্ধ হয়ে যায়। স্নেহাশিস কলকাতায় চলে যায় এমএ পড়তে। পড়াশুনোর পরেই সে চাকরি পেয়ে গেলে কলকাতাতেই থিতু হয়। তবে, কবিতা লেখা ছাড়েনি। সে কাব্যনাটক লেখার দিকে মন দেয়। একসময় তো নিয়মিত নাটক লিখত। ‘প্রাশ্নিক’ পত্রিকায় বেরিয়েছিল ওর প্রথম নাটক ‘চতুর্থ সন্তান’। সেটা আকাশবাণীতে প্রচারিত হয়। তার আরেকটা নাটক ‘দিব্যি রইলো’-ও প্রচারিত হয় আকাশবাণীতে। সেইসময় বেরিয়েছিল ‘নিশ্চুপ রাজা’। সেই বই আমরা সমবেতভাবে বিক্রি করেছিলাম। নয়ের দশকের কলকাতা থেকে বের করল ‘বর্ণমালা’। প্রথম কয়েকটা সংখ্যায় প্রচ্ছদে তিনজন সম্পাদকের নাম থাকত— স্নেহাশিস শুকুল, সমরেন্দ্র মণ্ডল, শিখা শুকুল। পরে সে একাই বের করত। লেটার প্রেসে ছাপা হতো সে-পত্রিকা। এই পত্রিকার নামাঙ্কন করে দিয়েছিলেন চিত্রশিল্পী নিতাই ঘোষ। বেশ কিছু সেট করে দিয়েছিলেন নানা সময়ে প্রচ্ছদে ব্যবহার করার জন্য। বেশিদিন বের করা যায়নি সেই পত্রিকা। মূলত অর্থাভাবের জন্য। এই পত্রিকাতেই বেরিয়েছিল বিদ্যাসাগর অনূদিত কাহিনি নিয়ে ‘তামস ইম্ফল ও ইয়ারিকো’, মহাভারত অবলম্বনে অর্ধসত্য, ক্ষত্তা। বই আকারে বেরিয়েছিল ‘তামস ইম্ফল’ আর ‘অর্ধসত্য’। নিতাই ঘোষ প্রচ্ছদ করে দিয়েছিলেন। এর আরও কয়েকটা নাটকের পাণ্ডুলিপি কোনো এক সুধীজন গ্রন্থাকারে প্রকাশ করবেন বলে লিখেছিলেন। কিন্তু, হয়নি। বেশ কিছুদিন পর জানতে পারা গেছিল তিনি আর ইহজগতে নেই। তাঁর পরিবারও ফেরত দিতে পারেনি। সম্ভবত এইসব বাজে কাগজ বিক্রিওয়ালার কাছে চলে যায়। অনেক পরে আরেকটা নাটক খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। তার বেশ কিছু অংশ উইপোকা গলাধঃকরণ করে। সেই নাটক স্নেহাশিসের সাহায্যে পুনরুদ্ধার করে ছাপা হয়েছিল ‘অন্তরীক্ষ’ পত্রিকায়। কবিতা বইয়ের একটা পাণ্ডুলিপিও সে প্রস্তুত করেছিল ছাপার জন্য। কিন্তু, সেসব আর হয়ে ওঠেনি। তার শরীরের মাত্রাতিরিক্ত শর্করা আর বিকল কিডনি তাকে সমস্ত সৃষ্টি থেকে সরিয়ে নেয়। তারপর একদিন চলে যায় নেইলোকের বাসিন্দা হয়ে।
লেখরাজদার দোকানে আসত সমর ভট্টাচার্য। আমার নানুদা। চাকরি করত বিডিও অফিসে। একটু বেশি বয়সে কৃষ্ণনগরে কলেজে ভরতি হয়ে স্নাতক হয়েছিল। তারপর চতুর্থ থেকে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হয়ে যায়। তার মাকে ডাকতাম মাসিমা বলে। কত দুপুর কেটেছে নানুদার বাড়িতে আড্ডা দিয়ে। সকলের সঙ্গে যতটা পারা যায় যোগাযোগ রাখত। সমরদা বিয়ে করল। সন্তানের জনক হল। ওর স্ত্রী বামপন্থী মহিলা সমিতির প্রথম শ্রেণির কমরেড ছিলেন। হঠাৎই তাঁর প্রয়াণ ঘটল। ততদিনে মাসিমাও আর নেই। আমরাও চলে গেছি অন্যত্র। লেখরাজদার দোকানও বিক্রি হয়ে গেছে অনেক বছর। ফলে, সকলেই এককভাবে অস্তিত্ব রক্ষা করে চলেছে। সমরদা বদলি নিয়ে স্বগ্রামে চলে যায়। সেও কিডনি বিকল হয়ে দেহ রাখে। পরবর্তী সময়ে তার সমস্ত লেখা একত্র করে প্রকাশ করেছে ‘সুপ্রকাশ’। এক বিস্মৃতপ্রায় লেখককে দু-মলাটে ধরে রেখে বাঁচিয়ে রেখেছে ‘সুপ্রকাশ’। শতঞ্জীব রাহার আন্তরিক সম্পাদনায়। আসলে, সমরদা আমাদের সকলেরই তো প্রিয় মানুষ ছিল।
আর আসত গৌতম মুখোপাধ্যায়। সাতের দশকের প্রথমদিকে ও এল গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গী হয়ে। গল্প লিখত। উকিলপাড়ায় বাড়ি। ওদের বাড়িটা ‘উকিল বাড়ি’ নামে পরিচিত ছিল। শ্যামনগরে থাকত পড়াশুনোর জন্য। স্নাতক হওয়ার পর কৃষ্ণনগর ফিরল, তারপরেই লেখরাজদার দোকান। ও যেমন ঝড়ের মতো এসেছিল, তেমনি ঝড় তুলে চলে গেল। গৌতম মুখোপাধ্যায় ছিল ভালো সংগঠক। কোনো দল না করলেও বামপন্থার দিকে ঝোঁক ছিল তীব্র। ওর মাথায় নানা পরিকল্পনা ঘুরত। সেই পরিকল্পনার ফলশ্রুতি ‘কৃষ্ণনগর সাংস্কৃতিক মেলা’। শহরের তাবৎ লেখক, শিল্পীদের জড়িয়ে তিনদিনের উৎসব করা চাড্ডিখানি কথা নয়। কিন্তু, তা সফল হলো। পর পর চারবছর সে-মেলা চলেছিল। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলে সেটা কীভাবে সফল করা যায়, তা সে দেখিয়েছিল। এ নিয়ে পরে সময় পেলে বলব। শুধু মেলা নয়, ও একটা চলমান সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলল। নাম হল ‘প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলন’। শহরের বিভিন্ন জায়গায় শিল্পীরা বসে যেতেন ছবি আঁকতে। কবিরাকবিতা পাঠ করতেন, শিল্পীরা গাইতেন খোলা গলায় গান। ভিড় করত পথচারীরা। পাশে টাঙানো থাকত কাপড়ের ব্যানার। কোনো শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা হতো না। প্রায় বছরখানেক চলার পর সে-আন্দোলন স্তিমিত হয়ে গেল কুশীলবদের জীবিকার তাগিদে অন্যত্র চলে যাওয়ার ফলে। গৌতমও সরকারি হিসাব পরীক্ষা দপ্তরে চাকরিসূত্রে কিছুদিন বাইরে চলে যাওয়ায় লেখা ও আন্দোলনও বন্ধ হয়ে যায়। প্রথম মেলা করার সময়েই সে চাকরি পেয়ে গিয়েছিল। তখন তার চাকরিক্ষেত্র ছিল কৃষ্ণনগর। এদিক-ওদিক বদলি হওয়ার পর আবার কৃষ্ণনগর যায়। পরে চলে আসে কলকাতায়। তখন সে সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল থেকে অনেক দূরে। সে দুর্মূল্য পয়সা সংগ্রহ ও তার ইতিহাস নিয়ে চর্চা করছিল। কিন্তু, কর্কট ওকে আক্রমণ করল। বছর দুয়েক চিকিৎসা করিয়েও সফল হলো না। অকস্মাৎ চলে গেল সে।
............................................
উড়নচণ্ডীর পাঁচালি
সমরেন্দ্র মণ্ডল
প্রচ্ছদ : সুলিপ্ত মণ্ডল
মুদ্রিত মূল্য : ৩০০ টাকা
...........................................
সুপ্রকাশ প্রকাশিতব্য।
Comments
Post a Comment