মিশু মিলনের উপন্যাস 'নাগরী' পড়ে লিখছেন ঝিলিক মুখার্জি গোস্বামী

সুপ্রকাশ প্রকাশিত মিশু মিলনের উপন্যাস ' নাগরী ' পড়ে লিখছেন ঝিলিক মুখার্জি গোস্বামী। আমরা তাঁর অনুমতি নিয়ে নিজেদের টাইমলাইন থেকে শেয়ার করছি। 
.................
পাঠপ্রতিক্রিয়া 
বই: 'নাগরী'
লেখক: মিশু মিলন 
প্রকাশক: সুপ্রকাশ 
বাইন্ডিং: হার্ড বাইন্ড উইথ জ্যাকেট 
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২২৫
মূল্য : ৩৫০
পৃষ্ঠার মান এবং বাইন্ড : প্রসংশনীয় 

আগেই বলছি পাঠপ্রতিক্রিয়া দেওয়ার মত ক্ষমতা আমার মত নগন্য মানুষের নেই, তাও চেষ্টা করছি। ভুল ত্রুটি মার্জনা করবেন 🙏

যদি অন্যরকম বই পড়তে ভালোবাসেন তাহলে পড়ে দেখতেই পারেন বইটি। 
এত সুন্দর বর্ণনা, সুন্দর শব্দচয়ণ আপনাকে আকৃষ্ট করবেই। শুধু একটি বানান চোখে লেগেছে, পাড়ে শব্দটা বেশির ভাগ জায়গায় পারে হয়ে গেছে। এটুকু বাদ দিয়েও বলব, অসাধারণ শব্দচয়ণ আপনাকে দিয়ে যাবে একরাশ মুগ্ধতা।

এবার একটু বলি বইটির বিষয় বস্তুর ব্যাপারে।
চম্পকনগরীতে বহুকাল যাবৎ বর্ষণ হচ্ছে না। প্রজাদের পেটে অন্ন নেই, জল নেই। জীবন তাদের দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। মহারাজ লোমপাদ কার্যতই মুষড়ে পড়েছেন। রাজপুরোহিতের কথা মত যাগযজ্ঞ করেও বরুন দেবকে কিছুতেই তুষ্ট করতে পারছেন না। ঠিক এমন সময় বলদেব নামক একজন মুনি আসেন তাঁর রাজদরবারে। তিনি যেন মুশকিল আসান হিসাবে দেখা দেন। তাঁর কথামতো, রাজকন্যা শান্তার সঙ্গে যদি বিভাণ্ডক ঋষির পুত্র ঋষ্যশৃঙ্গএর বিবাহ সম্পন্ন হয় তবেই বর্ষা আসবে রাজ্যে।
কিন্তু ঋষি পুত্রকে রাজ্যে নিয়ে আসবে কে?
ঋষির অভিশাপে অহল্যার মত কেউই পাথরে পরিণত হতে চায় না। 
কিন্তু সব ভয় চাপিয়ে নগরের 'নাগরী'রা পড়ি দেয় আশ্রমে। কেন এবং কার ভয় বা লোভে তারা পড়ি দেয়? 
তাহলে পড়তে হবে বইটি।

শবরী, নাম্নী এক গণিকা এই কার্য্য সাধনে সফল হলেও তার ওপর নেমে আসে মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার।
কেন এমন হল?
অঙ্গ রাজ্যকে সাহায্য করেও তার জীবনে চরম অভিশাপ কেন নেমে এল? কে  বা করা বাঁচালো তাদের? 
অনেক চরিত্ররা আছে, থাকলেও কেও হারিয়ে যায়নি। 
এটা কোনো পরিকল্পনা ছিল? 
রাজ্যএ কী বর্ষণ হল?
শান্তা/ শবরী/ ঋষ্যশৃঙ্গএর কী হল বলুনতো?
তারজন্য যে 'নাগরী' পড়তে হবে।

Comments

Popular posts from this blog

বাংলায় স্মৃতির পেশা ও পেশাজীবীরা ১।। সম্পাদনা : সুজন বন্দ্যোপাধ্যায়।।

সময় ভ্রমণ।। দার্জিলিং : পাহাড়-সমতলের গল্পগাছা।। সৌমিত্র ঘোষ।।

সময় ভ্রমণ।। সৌমিত্র ঘোষ।।