নাইনটিন নাইনটি আ লাভ স্টোরি। কল্লোল লাহিড়ী

ভালোবাসার সংজ্ঞা কী কখনও মাধ্যমিকের পরীক্ষায় লিখতে হয়নি। পৃথিবীর কোনো স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাতেও নয়। অথচ এমন একটা শব্দ পাল্টিয়ে দিয়ে যায় জীবনের পথ। বেঁচে থাকার মানে। সেই ভালোবাসার ডানায় ভর করেছিল কয়েকজন। আর একটা সময়। ঝিরঝিরে নীল সাদা বরফ বৃষ্টিতে ধর্মতলার মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন একা নিঃসঙ্গ লেনিন। সাক্ষী থাকছিলেন সব কিছুর। স্কুলের লাস্ট বেঞ্চ হাতছানি দিচ্ছিল ফিরে যাওয়ার। একটা ধূসর সিনেমা হলে বাজছিল থার্ড বেল। দুটো হলুদ রঙের টিকিট জানলা দিয়ে উঁকি দিচ্ছিল। একটা ভাঙাচোরা নদীঘাট ফিসফিস করে বলছিল কবেকার হারিয়ে যাওয়া দুই কিশোরের গল্প। লাশকাটা ঘরে ময়নাতদন্তে পাওয়া গিয়েছিল একটা বহু পুরনো লাল রঙের ডায়েরি। না তাতে কোনো প্রেমপত্র ছিল না। ছিল একটা কবিতা। যাকে কেউ কবিতা বলতে চায়নি। তবু এখনও প্রজেক্টার অন হলে। ফিল্মের স্ট্রিপের মধ্যে দিয়ে আলো সেকেন্ডে চব্বিশ বার সাদা পর্দা অন্ধকার করলে, একটাই মাত্র লেখা ফুটে ওঠে। নাইনটিন নাইনটি আ লাভ স্টোরি। কেউ কেউ সেটা দেখতে পায়। আবার কেউ পায় না।  রাতের আকাশে তখন হয়তো উড়ে বেড়ায় ভুতুম পেঁচার দল। পাঁচ তারা হোটেলের সুইমিং পুলে ভাসে মন্টুর লাশ। হুলো মধ্যরাতে ট্রান্সলেট করতে বসে "সেই ছেলেটা /সেই যে গেল/ গেলেই গেল/ আর এলো না।" 
সত্যি সত্যি অনেকেই ফিরে আসেনি। সেই না ফেরা ভালোবাসার গল্প ' নাইনটিন নাইনটি আ লাভ স্টোরি '। 

নাইনটিন নাইনটি আ লাভ স্টোরি
কল্লোল লাহিড়ী

প্রচ্ছদ ও অলংকরণ : মেখলা ভট্টাচার্য
মুদ্রিত মূল্য: ২৮০ টাকা

#সুপ্রকাশ

Comments

Popular posts from this blog

বাংলায় স্মৃতির পেশা ও পেশাজীবীরা ১।। সম্পাদনা : সুজন বন্দ্যোপাধ্যায়।।

সময় ভ্রমণ।। দার্জিলিং : পাহাড়-সমতলের গল্পগাছা।। সৌমিত্র ঘোষ।।

সময় ভ্রমণ।। সৌমিত্র ঘোষ।।