নির্মুখোশ শারদ ১৪৩২।। নিঃসঙ্গ হৃদয়।। অলোক সান্যাল।। সুপ্রকাশ।।

বৃষ্টি শুরু হয়েছে অঝোরে। ভারী আর বড়ো জলের ফোঁটা পাইন কাঠের ছাদে পেরেক ঠোকার মতো শব্দ তুলছে। ঘরের ভেতরে শুয়ে আছে সুকমিত—হাত-পা বাঁধা, শরীরে স্যালাইন চলছে। পাহাড়ি ঠাণ্ডায় ধাতব টেবিলের ছ্যাঁক ছ্যাঁক স্পর্শ তার শরীর থেকে প্রাণ টেনে নিচ্ছে। চোখের সামনে দাঁড়িয়ে সেই অচেনা লোক, ঠোঁটে অদ্ভুত হাসি—
‘নাহ্, তোমার হৃদয়ের কোনো প্রয়োজন নেই। অকারণ একটা অংশকে শরীরে বয়ে বেড়ানো। ওটা না থাকলেও দিব্যি চলে যাবে... দেখ।’

সার্জিক্যাল নাইফ হাতে লোকটা কাছে এগিয়ে আসে। বুকের ওপরে লাল কালি দিয়ে আঁকা অক্ষরের ওপর ইস্পাতের ধার নেমে আসছে ঠিক তখনই—বৃষ্টিভেজা রাতকে ফালা ফালা করে চিৎকার করে ওঠে পাহাড়ি কুকুরগুলো। যেন আসন্ন কোনো অনুপ্রবেশের ইঙ্গিত!

কিন্তু কে আসছে এই মৃত্যু-ঘরে? সুকমিত কি শেষমেশ বেঁচে উঠবে? নাকি এই দুঃস্বপ্নই হবে তার জীবনের শেষ অধ্যায়?
.............................................
নিঃসঙ্গ হৃদয়
অলোক সান্যাল 
...............................................
নির্মুখোশ শারদ ১৪৩২

প্রচ্ছদ : সৌজন্য চক্রবর্তী 
অলংকরণ : অদ্বয় দত্ত

মুদ্রিত মূল্য : ২৫০ টাকা

আসছে.....
    

Comments

Popular posts from this blog

এক যে ছিল গ্রাম।। অর্ধেন্দুশেখর গোস্বামী।। সুপ্রকাশ।।

চেতনার পথ জুড়ে শুয়ে আছে।। অনির্বাণ সিসিফাস ভট্টাচার্য।। সুপ্রকাশ।। পাঠপ্রতিক্রিয়া।।

প্রতিযাত্রা।। দুর্লভ সূত্রধর।। সুপ্রকাশ।।