Posts

Showing posts from September, 2025

নৈশ অপেরা।। শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য।। সুপ্রকাশ।। পাঠপ্রতিক্রিয়া

Image
সুপ্রকাশ প্রকাশিত শাক্যজিৎ ভট্টাচার্যের উপন্যাস 'নৈশ অপেরা' পড়ে মতামত জানিয়েছেন নীরা মুখার্জি। আমরা তাঁর অনুমতি নিয়ে নিজেদের টাইমলাইন থেকে শেয়ার করছি। .................................................... "লীন হয়ে গেলে তারা তখন তো - মৃত। মৃতেরা এ—পৃথিবীতে ফেরে না কখনো। মৃতেরা কোথাও নেই; আছে?" - জীবনানন্দ দাশ একটা মৃত গঞ্জ. যেখানে বাস করা প্রতিটা মানুষই মৃত. তারা কেবল বেঁচে থাকে ছায়ায়. সময় এখানে ক্লান্ত আর অন্ধকার নিস্পন্দ. শুধু অতীতের কঙ্কালরা কুয়াশার গায়ে মাখিয়ে রাখে ভুলে যাওয়া ইতিহাস ও স্মৃতিদের. গঞ্জে বেড়াতে আসা ক্রাইম রিপোর্টার তনয়া হঠাৎই সম্পৃক্ত হয়ে যায় এই ইতিহাসের সঙ্গে. গঞ্জের ডেভিড ব্রাউনের বাড়ী থেকে অতীতে হারিয়ে গিয়েছিল এক শিশু. ক্রিস. ক্রিসের অন্তর্ধান রহস্যের মাঝেই সামনে এসে দাঁড়ায় আরো এক চরিত্রের কাহিনী - যাকে এই গঞ্জ ভুলে গেছে অথবা ভুলে যেতে চেয়েছে. সে হলো অ্যাগনেস ও'ব্রায়েন. অন্তর্ধান হয়েছিল সেও ক্রিস কাহিনীর পাঁচ বছর আগে. কিন্তু স্মৃতির আনুগত্যে লুকিয়ে থাকা বিস্ময় আর প্রশ্নেরা সব সময়ই শক্তিশালী. তাই, অ্যাগনেস মুছে গিয়েও গ...

নির্মুখোশ শারদ ১৪৩২।। প্রবাসে দুর্দৈবের বশে : নিশিকান্ত চট্টোপাধ্যায়।। অনন্ত জানা

Image
বঙ্কিমাগ্রজ সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বাংলার যাত্রা-সংক্রান্ত একটি বইয়ের আলোচনা করতে গিয়ে লিখেছিলেন :    ‘কিছুদিন হইল বাঙ্গালার যাত্রা নামে একখানি ক্ষুদ্র গ্রন্থ আমরা পাইয়াছিলাম। গ্রন্থখানি বিলাতে বসিয়া বিলাতি ভাষায় লিখিত হয় এবং বিলাতেই তাহা মুদ্রিত হইয়াছে। মূল্য দুই সিলিং। লেখক বাঙ্গালি আমাদের সুপ্রসিদ্ধ নিশিকান্ত চট্টোপাধ্যায়। আমরা সেজন্য বিশেষ আহ্লাদ পূর্ব্বক ইহা পাঠ করিয়াছি।’ (যাত্রার ইতিবৃত্ত :১২৮৯) বাংলার যাত্রা-বিষয়ে এই ধরনের গ্রন্থ আলোচনার সম্পূর্ণ অধিকার সঞ্জীবচন্দ্রের ছিল। কেননা ইতোপূর্বেই তিনি বঙ্গদর্শন ও ভ্রমর পত্রিকার পাতায় বাংলার যাত্রা নিয়ে তিনখানি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। প্রবন্ধগুলি নিয়ে তাঁর ‘যাত্রা সমালোচনা’ (১৮৭৫) নামে একটি  গ্রন্থও প্রকাশিত হয়েছিল। সে-নিয়ে প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে আমরা বিস্তারিত হতেই পারি। কিন্তু  গ্রন্থ-সমালোচনামূলক এই রচনায়  সঞ্জীবচন্দ্র আলোচ্য গ্রন্থটি নিয়ে ‘ইদানিং ঢাকা অঞ্চলে ‘স্বপ্নবিলাস’ প্রভৃতি তিনখানি যাত্রা রচিত হয়েছে। তথাকার বিস্তর লোক এই যাত্রার পক্ষপাতী। নিশিকান্তবাবু সেই যাত্রা উপলক্ষ করিয়া এই  গ্রন্থ লিখিয়াছেন’–ইত্যা...

নির্মুখোশ শারদ ১৪৩২।। সার্কাসের ইতিকথা।। বরুণদেব।।

Image
১৮৭৯ সালে চিয়ারিনির রয়‍্যাল ইটালিয়ান সার্কাসের তাঁবু পড়ল বোম্বের বোরিবন্দর রেলস্টেশনের কাছে ক্রস ময়দানে। এই বোরিবন্দর রেলস্টেশন থেকেই ছাব্বিশ বছর আগে ভারতীয় রেল শুরু করেছিল তার যাত্রা। ১২ই ডিসেম্বর, ১৮৭৯-তে চিয়ারিনির প্রদর্শনীর উদ্বোধন করলেন বোম্বে প্রদেশের গভর্নর রিচার্ড টেম্পল। এর কয়েকদিন পর ক্রিসমাসের রাতে দর্শকপূর্ণ তাঁবুতে চিয়ারিনি ছুঁড়ে দিলেন চ্যালেঞ্জ— আমি জানি, ভারতে কোনো সার্কাস দল নেই। আরও অনেক বছর ভারতকে অপেক্ষা করতে হবে নিজেদের সার্কাসের জন্য। চ্যালেঞ্জ করছি, যদি কেউ আমার মতো ঘোড়ার খেলা দেখাতে পারে, তাকে আমি ভারতীয় মুদ্রায় এক হাজার টাকা দেব। সেই সঙ্গে আমার প্রশিক্ষিত ঘোড়াগুলোর মধ্যে যে কোনো একটা ঘোড়া দিয়ে দেব। ছ'মাস সময় দিচ্ছি। আছেন কেউ? কেউ আছেন? থাকলে এগিয়ে আসুন। এই বিস্ময়কর ইউরোপীয় শিল্পের সম্মোহন প্রত্যক্ষ করতে সার্কাসের তাঁবুতে সে সন্ধ্যায় হাজির দেশীয় রাজারা, সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। দর্শকাসনে সপারিষদ উপস্থিত মহারাষ্ট্রের কুরুন্দওয়াদ প্রদেশের রাজা বালাসাহেব। আর ছিলেন অশ্বারোহী বিষ্ণুপন্থ মোরেশ্বর ছত্রে, কুরুন্দওয়াদ রাজপ্রাসাদের আস্তাবলের সুপারিনটেনডেন্ট। ইস্ট ইণ...

নির্মুখোশ শারদ ১৪৩২।। সীমান্ত রেখা।। অবিন সেন।। সুপ্রকাশ

Image
চারপাশে অন্ধকারটা ঝাঁপিয়ে নেমেছে। এমন অন্ধকারের একটা গন্ধ আছে, যেন ভেজা ভেজা ঝোপঝাড়ের গন্ধ। কানু শুধু গন্ধটা পায়। সারা রাস্তাটায় এখন ইলেকট্রিক পোস্টে পোস্টে আলো লাগানো হয়েছে। কিন্তু অবনীদের বাড়ি পেরিয়ে চুলের কাঁটার মতো এই বাঁকানো মোড়ের কাছে দু তিনটে পোস্টের আলো কারা যেন ভেঙে দিয়ে যায় নিয়মিত। কানুর সাইকেলের আলোটা আবার খারাপ হয়ে গিয়েছে। নিকষ অন্ধকারে ঢুকে পড়ে ভিজে ভিজে গন্ধটা ছ্যাঁত করে তার নাকে লাগে। বুকের ভিতরে একটা ঢিব ঢিব শব্দ শুনতে পায় সে। কানুর হাত-পায়ের পেশী শক্ত আর কঠিন হয়ে ওঠে। কোথা থেকে একটা অলৌকিক শক্তি যেন তার দেহের ভিতরে ভর করে। সাঁ সাঁ করে প্যাডেল ঘুরিয়ে সে অন্ধকারটা পেরিয়ে যায়। আরও প্রায় দু তিন কিলোমিটার তাকে সাইকেল চালিয়ে যেতে হবে। রাস্তাটা এবার ফাঁকা মাঠের মধ্যদিয়ে। চারপাশে বাড়ি ঘর নেই। দু পাশে লম্বা লম্বা গাছের সারি। আধুনিক নব্য সভ্যতা যেন এই পর্যন্ত এসে থেমে গিয়েছে। এর পর থেকে প্রকৃতি যেন আপন খেয়ালে নিজেকে নিয়ে গড়েছে, ভেঙেছে আর মুচকি হেসে মানুষের যাবতীয় আধুনিক সভ্যতার হিসেব নিকেশকে ওলটপালট করে দিয়েছে। এই রাস্তাটা পার হতে কানুর বেশ ভয় ভয় করে। কিসের ভয় কানু ঠিক জানে না। ...

নির্মুখোশ শারদ ১৪৩২।। উপন্যাস।।

Image
অন্ধকার নামে… হ্যারিকেনের আলোয় মোগল সাম্রাজ্যের পতনের কারণ নাকি কোষ বিভাজন—কোনটা আগে পড়া দরকার সেই নিয়ে দোদুল্যমান নবা এলোমেলো একবার অমূল্যভূষণ, আরেকবার প্রভাতাংশু মাইতি খোলে। মন বসে না তার। বাইরে ভেসে আসে প্রতিবেশীদের বিবাদ, মসজিদ থেকে আজান, মাঠ থেকে ছেলেদের হুল্লোড়—সব মিলিয়ে তার মনে হয়, চারপাশে এত শব্দ থাকলেও নিজের ভিতরেই যেন সবচেয়ে বড় অন্ধকার। দীপেন স্যার বলেছিলেন—‘কাজেই কাজেই দেখতে পাচ্ছ, বস্তুটি যে অবস্থানেই থাকুক, মোট শক্তির যোগফল ধ্রুবক।’ কিন্তু নবার মনে হয়েছিল, মানুষের জীবনে কি সত্যিই শক্তির যোগফল ধ্রুবক থাকে? নাকি কোথাও না কোথাও প্রতিদিন একটু একটু করে ক্ষয় হয়—আশা, স্বপ্ন আর ভালোবাসার ভেতর? উপন্যাস ........................ জলের কাছে কৌশিক ঘোষ ........................ প্রচ্ছদ : সৌজন্য চক্রবর্তী  অলংকরণ : অদ্বয় দত্ত  নির্মুখোশ শারদ ১৪৩২ মুদ্রিত মূল্য : ২৫০ টাকা আসছে......

নির্মুখোশ শারদ ১৪৩১।। প্রবাসে দুর্দৈবের বশে : নিশিকান্ত চট্টোপাধ্যায়।। অনন্ত জানা।। সুপ্রকাশ

Image
বঙ্কিমাগ্রজ সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বাংলার যাত্রা-সংক্রান্ত একটি বইয়ের আলোচনা করতে গিয়ে লিখেছিলেন :    ‘কিছুদিন হইল বাঙ্গালার যাত্রা নামে একখানি ক্ষুদ্র গ্রন্থ আমরা পাইয়াছিলাম। গ্রন্থখানি বিলাতে বসিয়া বিলাতি ভাষায় লিখিত হয় এবং বিলাতেই তাহা মুদ্রিত হইয়াছে। মূল্য দুই সিলিং। লেখক বাঙ্গালি আমাদের সুপ্রসিদ্ধ নিশিকান্ত চট্টোপাধ্যায়। আমরা সেজন্য বিশেষ আহ্লাদ পূর্ব্বক ইহা পাঠ করিয়াছি।’ (যাত্রার ইতিবৃত্ত :১২৮৯) বাংলার যাত্রা-বিষয়ে এই ধরনের গ্রন্থ আলোচনার সম্পূর্ণ অধিকার সঞ্জীবচন্দ্রের ছিল। কেননা ইতোপূর্বেই তিনি বঙ্গদর্শন ও ভ্রমর পত্রিকার পাতায় বাংলার যাত্রা নিয়ে তিনখানি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। প্রবন্ধগুলি নিয়ে তাঁর ‘যাত্রা সমালোচনা’ (১৮৭৫) নামে একটি  গ্রন্থও প্রকাশিত হয়েছিল। সে-নিয়ে প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে আমরা বিস্তারিত হতেই পারি। কিন্তু  গ্রন্থ-সমালোচনামূলক এই রচনায়  সঞ্জীবচন্দ্র আলোচ্য গ্রন্থটি নিয়ে ‘ইদানিং ঢাকা অঞ্চলে ‘স্বপ্নবিলাস’ প্রভৃতি তিনখানি যাত্রা রচিত হয়েছে। তথাকার বিস্তর লোক এই যাত্রার পক্ষপাতী। নিশিকান্তবাবু সেই যাত্রা উপলক্ষ করিয়া এই  গ্রন্থ লিখিয়াছেন’–ইত্যা...

টুক্কা।। কৌশিক ঘোষ।। সুপ্রকাশ।।

Image
"এ বছর জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মাথায় গৌরব হঠাৎ আবিষ্কার করল, সে চন্দ্রাণীর জন্মদিন বেমালুম ভুলে গেছে। দুই দশকেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত, সময়ের পলি অনেক কিছু ঢেকে দিয়েছে, এমনকি প্রথম প্রেমিকার জন্মদিনও। স্বাভাবিক, তবু অস্বস্তিকর— কেননা খুঁতখুঁত করছে, কবে যে জন্মদিন চন্দ্রাণীর, কিছুতেই মনে পড়ছে না। মাস মনে আছে, কিন্তু দিন নয়। যেন একটা গর্হিত কাজ করে ফেলেছে— দিন ভুলে গিয়ে মাস মনে রাখার এই অপরাধ। স্মৃতি আর বিস্মৃতির এই খেলা তাকে আচ্ছন্ন করে রাখল সারাদিন। লজিক দিয়ে উত্তর মেলে না, অনুমান দিয়েও নয়। ১৫, ১৭, ১৮ থেকে শুরু করে ২৬— সব তারিখই সম্ভাব্য মনে হয়। অথচ নিশ্চিত নয় কিছুই। একদিকে মনে হয়, তথ্যটার আর কোনো বাস্তব প্রয়োজনে নেই আজ, তবু না জানার অস্বস্তি কুরে কুরে খাচ্ছে। কবে জন্মদিন, কবে, কবে, কবে? এই এক অকিঞ্চিৎকর প্রশ্নই যেন জীবনের সমস্ত গুরুত্ব ছাপিয়ে উঠছে জুনের উষ্ণ দুপুরে।" ................................................................................ জন্মদিন ................................................................................ টুক্কা কৌশিক ঘোষ প্রচ্ছদ : সৌজন্য চক্রবর...

নির্মুখোশ শারদ ১৪৩২।। নিঃসঙ্গ হৃদয়।। অলোক সান্যাল।। সুপ্রকাশ।।

Image
বৃষ্টি শুরু হয়েছে অঝোরে। ভারী আর বড়ো জলের ফোঁটা পাইন কাঠের ছাদে পেরেক ঠোকার মতো শব্দ তুলছে। ঘরের ভেতরে শুয়ে আছে সুকমিত—হাত-পা বাঁধা, শরীরে স্যালাইন চলছে। পাহাড়ি ঠাণ্ডায় ধাতব টেবিলের ছ্যাঁক ছ্যাঁক স্পর্শ তার শরীর থেকে প্রাণ টেনে নিচ্ছে। চোখের সামনে দাঁড়িয়ে সেই অচেনা লোক, ঠোঁটে অদ্ভুত হাসি— ‘নাহ্, তোমার হৃদয়ের কোনো প্রয়োজন নেই। অকারণ একটা অংশকে শরীরে বয়ে বেড়ানো। ওটা না থাকলেও দিব্যি চলে যাবে... দেখ।’ সার্জিক্যাল নাইফ হাতে লোকটা কাছে এগিয়ে আসে। বুকের ওপরে লাল কালি দিয়ে আঁকা অক্ষরের ওপর ইস্পাতের ধার নেমে আসছে ঠিক তখনই—বৃষ্টিভেজা রাতকে ফালা ফালা করে চিৎকার করে ওঠে পাহাড়ি কুকুরগুলো। যেন আসন্ন কোনো অনুপ্রবেশের ইঙ্গিত! কিন্তু কে আসছে এই মৃত্যু-ঘরে? সুকমিত কি শেষমেশ বেঁচে উঠবে? নাকি এই দুঃস্বপ্নই হবে তার জীবনের শেষ অধ্যায়? ............................................. নিঃসঙ্গ হৃদয় অলোক সান্যাল  ............................................... নির্মুখোশ শারদ ১৪৩২ প্রচ্ছদ : সৌজন্য চক্রবর্তী  অলংকরণ : অদ্বয় দত্ত মুদ্রিত মূল্য : ২৫০ টাকা আসছে.....     

টুক্কা।। কৌশিক ঘোষ।। সুপ্রকাশ

Image
"মূল বড় রাস্তার ট্রাফিক সিগন্যালে গিয়ে বাজারের রাস্তা যেখানে পড়ে, সেখানে এখন সাদা পোশাকের সার্জেন্ট নেই… দুদিকের দুটি সমান্তরাল পথ, অথচ বিপরীতমুখী, দুদিকে ছোটে মানুষ। কেউ কেউ সিগন্যাল থামার ও শুরু হওয়ার অনতিপরে সমকৌণিক, জেব্রা ক্রসিং ধরে অন্য এক রাস্তায়। এখান থেকে রাধুর মনে হয়, আসলে দিক বলে কিছু নেই, গন্তব্য একটাই—সময় ক্লান্তিহীন যেদিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। এই যে দেখতে দেখতে তার চুল দাড়িতে আজ পাক ধরে যাচ্ছে, সময়কে তবুও বৃদ্ধ মনে হয় কখনও? অমেয় শক্তিতে সে কাউকে ঠেলছে দক্ষিণে, কাউকে উত্তরে… তবু একটাই, একটাই দিক আসলে—চিরতরুণ সময় গন্তব্য স্থির করে সকলের।" ............................................................................. সাতচল্লিশের কেয়ারটেকারের একটি দিন ............................................................................. টুক্কা কৌশিক ঘোষ প্রচ্ছদ : সৌজন্য চক্রবর্তী  অলংকরণ : অদ্বয় দত্ত  মুদ্রিত মূল্য : ২৯০ টাকা সুপ্রকাশ

বীরেশ্বর সামন্তর হত্যা রহস্য।। শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য।। সুপ্রকাশ

Image
সুপ্রকাশ প্রকাশিত শাক্যজিৎ ভট্টাচার্যের উপন্যাস 'বীরেশ্বর সামন্তর হ ত্যা রহস্য' পড়ে মতামত জানিয়েছেন তিয়াসা রায় ব্যানার্জি। আমরা তাঁর অনুমতি নিয়ে নিজেদের টাইমলাইন থেকে শেয়ার করছি। ............................................................... এই উপন্যাসটি অনেকেই পড়েছেন, অনেক সমালোচনা, আলোচনা লক্ষ্য করেছি..সুতরাং কী, কেন কিভাবে বলব না...  কিছু উপলব্ধি বলতে চাই...  পড়তে পড়তে স্তব্ধ হয়ে গেছিলাম... চিত্রকল্পগুলো বিবমিষার উদ্রেক করেছিল... মাছের কাঁটার রঙের ভোর... কালো মেঘের পেট চিরে রক্তের মতো সূর্য.... একটি মাছিভরা মৃ তদেহ.. গাছ থেকে ঝুলছে.. কাদা মাখা.. বিভৎস হাসি তার মুখে আর ঠোঁটের পাশ দিয়ে র ক্ত ঝরছে.. জিভটা দুটুকরো হয়ে গেছে প্রায়..  খু  নী কে বা কারা জানা যায় প্রথমেই.. কেনটাই হলো উপন্যাসটির মূল বিষয়.. পড়তে পড়তে অদ্ভুত একটা রাগ হয়.. অসহায় একটি রাগ...  দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া কিছু মানুষ.. যাদের ঘর থেকে মেয়েদের টেনে নিয়ে গিয়ে নিরন্তর ধর্ষণ করা হতে থাকে.. যারা অভিশাপ দেয়, হাতে ছুরি থাকলেও তা বসিয়ে দিতে পারে না.... সেই অভিশাপের উপকথা..  জমি দখল, অত্যাচার.. খ...

নৈশ অপেরা।। শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য।। সুপ্রকাশ।।

Image
সেদিন রাত্রে অতিথিরা বিদায় নিলে আমি পোড়ো মাঠের দিকে মুখ রেখে জেগে ছিলাম অনেকটা সময়। আমার হাতে ধরা ছিল একটা বাইবেল। শীতের রাত্রে জমাট মেঘ অবসাদের মতো ঘনিয়ে এসেছিল। মশাদের কোরাস বাড়িটাকে নিঃসঙ্গতায় ফাঁপিয়ে তুলছিল। কে দাঁড়িয়ে ছিল জলাভূমির ওপাশে? হাওয়ার গুঞ্জন বাদে অন্য কিছু কানে আসেনি। এখানে আসার পর থেকে রোদের তাপ কমে গিয়েছিল। শান্ত গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির ফিসফিস আমার চারপাশ ভরিয়ে তুলেছিল অবোধ্য গুঞ্জনে। তাদের আমি কান পেতে শুনতে চেয়েছিলাম। সত্যিই কি আমি এগোব? আমার কী লাভ এতে? আমি তো গোয়েন্দা নই। এসেছি নিছক ঘুরতে। একটা অ্যাবসার্ড রহস্য, অবিনাশ যাদব যেমন বলে গেলেন, আমাদের অস্তিত্বের প্রতিটা পূর্বশর্তকে যা হা-হা স্বরে উড়িয়ে দেয়, তার পেছনে ছুটে কী লাভ? কেন আমরা সবাই ইতিহাসে বাঁচব? সময়, যে যতই বলুক, কোনো চ্যাপটা বৃত্ত নয় যার ভেতর ঘুরে ঘুরে আমাদের সেই কাজ, একই কাজ এবং আবার ও বার বার একই কাজ করে যেতে হবে। ক্রিস ব্রাউন হারিয়ে গিয়েছে চিরতরে। তার রহস্যের সমাধান হয়নি। ফলত, এতদিন পরে কেন নাড়াঘাঁটা করব তাকে? আমি একজন পোড়খাওয়া ইনভেস্টিগেটিভ সাংবাদিক। আমার কী এসে যায় বহু বছর আগের এক ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি নিয়...

নৈশ অপেরা।। শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য।। সুপ্রকাশ

Image
আমি স্যাংচুয়ারিতে থেকে গিয়েছিলাম, দশদিন ছাড়িয়ে আরও পাঁচদিন। বাড়িটাকে তামার পয়সা ঘষা কাচের মতো অস্বচ্ছ মনে হত আমার। বাড়ির ডান দিকের ভগ্নস্তূপে চোখ চালালে ঘর, স্টোররুম, গাড়িবারান্দার অনুপস্থিত ছায়া। বামদিকের যে অক্ষত অংশে আমরা ছিলাম, তার বন্ধ ঘরগুলোর দরজায় কান পাতলে নৈঃশব্দ্যকে অন্তর্ভেদী ও হাহাকারময় লাগতে পারত। সস্তা পর্দার দল প্রবল হাওয়ায় ওড়াউড়ি করত। বাড়ির পেছনে পাঁচিল ভেঙে পড়েছে। তার ওপাশে নাকি কোনো একসময়ে একটা জঙ্গল ছিল, একশো বছর আগে পুড়ে যায়। এখন একটা আগাছা ভরতি দিগন্তবিস্তৃত বিরাট মাঠের আকার নিয়েছে যার বেশিরভাগ অংশ জুড়ে গভীর কাদা, জলাভূমি, বুকসমান বুনোঘাসের সারি। একটা অ্যাম্বাসাডর গাড়ির কঙ্কাল জলার অপরপ্রান্তে বসে আছে। মাঠ ও জলার ভেতর ইতিউতি মাথা উঁচু করে থাকে গাছের গুঁড়ি, আমগাছের হাত মেলা কঙ্কাল। অঞ্চলটা আকারে এতই বিশাল ও স্থানে স্থানে অগম্য যে, তার অপরপ্রান্তের জঙ্গলকে আকারে বামন লাগে, শালগাছকে মনে হয় কোমরসমান। স্যাংচুয়ারির অক্ষত অংশের মাথায় টালি। সেখান দিয়ে বুনো লতা নেমেছে। বাড়ির সামনে, পেছনে অনেকটা জায়গা ঘিরে বাগান। সেখানে যত্নের অভাবে আগাছা। শিশু কোলে মেরির ছোট্ট মন্দির, মুরগি...

অনন্যবর্তী।। দুর্লভ সূত্রধর।। সুপ্রকাশ।। পাঠপ্রতিক্রিয়া।।

Image
সুপ্রকাশ প্রকাশিত দুর্লভ সূত্রধরের উপন্যাস 'অনন্যবর্তী' পড়ে গুডরিডস্-এ মতামত জানিয়েছেন ফরজানা রহমান। আমরা নিজেদের টাইমলাইন থেকে শেয়ার করছি। ......................................................... বই : অনন্যবর্তী লেখক : দুর্লভ সূত্রধর প্রকাশক : সুপ্রকাশ পৃষ্ঠা : ২৩৬ মূল্য : ৩২০ রুপি ইউটোপিয়ান ঘরনার গল্প দুর্লভ সূত্রধর-এর "অনন্যবর্তী"। আমাদের জীবন অবশ্যই সেই ঘরনার নয়। আমাদের স্বপ্নে অবশ্য আমরা ইউটোপিয়ান কিছুর চারপাশে কুয়াশা মাখা কিছুর কংকাল দেখি। বেগুনি পেরেকে বিদ্ধ এই জীবনের জটিলতার উত্তাপে স্বপ্নে ঘনত্ব ধীরে ধীরে কমতে থাকে। বিশেষ কিছু কথা উৎসাহ নিয়েই ঘুম আসে। আবার ঘুম শেষে হারিয়ে যায় স্বপ্নটা নিজের ছায়ার মতো। আদতে আমরা কি খুব সাধারন একটা গল্পের কাছে সমর্পিত হই? আমাদের পড়া গল্পের প্লটটাও যেন জটিল হতে হয়। খুব সাধারন একটা হাওয়াই মিঠাই টাইপ গল্প তারপরও আমাদের সমর্পিত হতে বাধ্য করে। দুর্লভ সূত্রধর-এর "অনন্যবর্তী" সেই গোলাপি হাওয়াই মিঠাই। নান্দনিক। উপন্যাসটি গভীর নয়, আবার গভীর জীবনবোধের অভাবে দুষ্ট নয়। হালকা, তবে ওজনহীন নয়। 'অনন্যবর্তী' অনেকটা আমাদের ...