প্রতিযাত্রা।। দুর্লভ সূত্রধর।। সুপ্রকাশ।।

তবু সুপণ্যকের মনে হলো—তিনি বা অভিদীপ্ত কেউই কোথাও প্রতিশ্রুত নন, আকাঙ্ক্ষিত নন—তবে তাঁরা উৎকণ্ঠিত কেন? নাকি ভিক্ষুণী সুবিনীতার মতো নিজেদের অজ্ঞাতে তাঁরা এই বনভূমির মায়াময় ও ইন্দ্রিয়জ প্রকৃতির ‘শয়তানি জাদু’তে আবিষ্ট হয়ে আছেন!
এত অমীমাংসিত, প্রশ্নসঙ্কুল ইদানিংয়ের নিশাচর্যা!
উত্তর শরতের রাতের আকাশে কি এতক্ষণ মেঘ ছিল?
নাকি চন্দ্রোদয় হলো এত দেরিতে!
শুক্লপক্ষের অপ্রতিহত আলো ছড়িয়ে পড়ল বনভূমিতে।
সুপুণ্যক ও অভিদীপ্ত পব্ববল্লির ওপর উপবেশন করে তরুচ্ছায়া-প্রলিপ্ত অদূরবর্তী পণ্ণকুটির ছত্তকের দিকে চেয়েছিলেন—সেটিকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার জন্য শালবৃন্তদ্বারা ছত্তকটি আবৃত করার আর প্রয়োজন আছে বলে মনে হলো না।

নিস্তব্ধ চরাচরে বনভূমিকে চমকে দিয়ে কোথা থেকে একটি পাখি তীক্ষ্মস্বরে ডেকে উঠল—'বো-কো-টা-কা'... 'বো-কো-টা-কা'। পরিবদন্তিকা নাকি?

কী বলছে পাখিটা এমন অসময়ে? 'বো-কো-টা-কা'... 'বো-কো-টাকা'। কী বলছে পাখিটা?... 'বো-কো-টা-কা'। 'বউ কথা কও' বলছে নাকি!

ফিঙে বা বেণে বউদের বাসায় ডিম পাড়ার দিনও তো অতিক্রান্ত হয়েছে—তবে কি তাঁদেরই জন্য এমন রাত্রিকালে পরিবদন্তিকা ফিরে এসেছে এই মহাবনে!
...........................................................
প্রতিযাত্রা 
দুর্লভ সূত্রধর 

প্রচ্ছদ : সৌজন্য চক্রবর্তী 
অলংকরণ : অদ্বয় দত্ত 

মুদ্রিত মূল্য : ৪৮০ টাকা
সুপ্রকাশ 

আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় প্রকাশিতব্য
স্টল : ৪৯৯

Comments

Popular posts from this blog

এক যে ছিল গ্রাম। বাগাল গুরুর পাঠশালা

এক যে ছিল গ্রাম। ডাকাতি

লেটারপ্রেসের কম্পোজিটর।। এক বিষাদান্ত পরম্পরা।। অনন্ত জানা।। সুপ্রকাশ।।