সকলই গরল ভেল।। গৌরব বিশ্বাস।। সুপ্রকাশ।।
"জোৎস্নায় ভেসে যাচ্ছে চরাচর। অনাবিল চন্দ্রাতপে কৌমুদিস্নাত চিরায়ত প্রেমের নিষ্কলুষ নিশান তাজমহল। ‘কালের কপোল তলে শুভ্র সমুজ্জ্বল’। তবে আজ রাত্রে, তাজের শহর মৃ. ত্যুপুরী।
শাশ্বত প্রেম আজ রাতেও আগ্রার অন্য প্রান্তে নিঃশব্দে রাখতে চলেছে তার চরণ চিহ্ন। তবে তা তাজের মতো ঈশ্বরিক নয়, হংস বলাকার মতো কোমল পবিত্র নয়। তা হ . ত্যার লিপ্সায় অভিষিক্ত, রিপুর হলাহলে মদোন্মত্ত।
শহরের একপ্রান্তে চার মূর্তি এক নিম গাছের তলায় আড্ডা মারছে। অনতি দূরের সাহেব কলোনি ডুবে রয়েছে অন্ধকারে।
এক টুকরো মেঘ এসে ঢেকে দিল চাঁদ। আড্ডারত চারমূর্তির মধ্যেও একটু যেন চাঞ্চল্য। একে একে উঠে পড়ল চারজনই। তারা দল বেঁধে চলছে সাহেব কলোনির দিকে। তাদের একজনের হাতে ত .রবারি।
ওরা নিঃশব্দে ঢুকে পড়েছে এক মেমসাহেবের বাংলোয়।
মেমসাহেব নিদ্রিত। তার সুখনিদ্রা, চিরনিদ্রা হতে মাত্র কয়েক মুহূর্তের অপেক্ষা। লণ্ঠনের আলো বৃদ্ধের ঘোলাটে চোখের মতো, ঘরময় এক অতিপ্রাকৃত আবহের সঞ্চার করেছে। মেমসাহেবের অবয়ব লক্ষ্য করে একজন উঁচিয়ে ধরেছে ত .লোয়ার। সেই ভয়ঙ্কর ভঙ্গিমা ছায়াবৎ প্রস্ফুটিত হয়েছে দেওয়ালে। তারপর চোখের পলকে দৈব বাণীর মতো শুন্য হতে অকস্মাৎ নেমে এল অসি। নির্ঝরের মতো নির্গত হচ্ছে রুধির ধারা। আগ্রার নিঃশব্দ নিশীথ ছারখার হয়ে যায় ভ .য়ার্ত আ. র্তনাদে।
এই সদ্য সংঘটিত অপরাধটি এক হ. ত্যা রঙ্গের অন্তিম অঙ্ক মাত্র । যার পূর্বাঙ্কটি মঞ্চস্থ হয়েছে প্রায় একটি বছর আগে। তা এখনও অনাবিষ্কৃত। তার তত্ত্বতালাশ ঘুণাক্ষরেও কেউ জানতে পারে নি। কারণ, সেই মৃ. ত্যু অ. পরাধ হিসেবে প্রতিপন্নই হয়নি। তার ভিক্টিম এখনও পাতালে অপেক্ষারত ন্যায়ের প্রতীক্ষায়।"
.
.
.
#সুপ্রকাশ_প্রকাশিতব্য
কলকাতা বইমেলা অথবা বইমেলার আগেই আসছে...
সকলই গরল ভেল
গৌরব বিশ্বাস
প্রচ্ছদ : সৌজন্য চক্রবর্তী
সুপ্রকাশ
Comments
Post a Comment