Posts

Showing posts from June, 2025

নৈশ অপেরা।। শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য।। সুপ্রকাশ।। পাঠপ্রতিক্রিয়া।।

Image
সুপ্রকাশ প্রকাশিত শাক্যজিৎ ভট্টাচার্যের উপন্যাস 'নৈশ অপেরা' পড়ে মতামত জানিয়েছেন পায়েল দত্ত। আমরা তাঁর অনুমতি নিয়ে নিজেদের টাইমলাইন থেকে শেয়ার করছি। ....................................................... নৈশ অপেরা || শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য  সুপ্রকাশ, ৫৪০ টাকা “মানুষের মৃত্যু হলে তবুও মানব থেকে যায়; অতীতের থেকে উঠে আজকের মানুষের কাছে  প্রথমত চেতনার পরিমাপ নিতে আসে...”                                        - জীবনানন্দ দাশ 'শেষ মৃত পাখি'-র অসামান্য অভিঘাতে বিহ্বল পাঠক হৃদয় প্রায় তিন বছর অপেক্ষায় ছিল এমনই কোনো বৃহৎ রহস্যপোন্যাসের, যেখানে ফিরে আসবে ব্যস্ত শহর থেকে দূরে অবস্থিত ছোট একটি জনপদ ও তার দীর্ণ বাসিন্দাদের বিষাদ পরম্পরার আখ্যান আর সেই বিষাদের মধ্যে এসে পড়বে তনয়া – জার্নালিস্ট তনয়া, যে নিজের বিবিধ বিষণ্ণতার সঙ্গে ক্রমাগত লড়াইয়ে প্রায় বিপর্যস্ত থেকেও তীক্ষ্ণ বুদ্ধি ও সত্যানুসন্ধানের অমোঘ টানে জড়িয়ে পড়ে সেই পরম্পরার ভেতরে এবং অনিবার্য মানবিক সংবেদের ফলে আরও গভীর ...

নষ্ট চাঁদের আলো।। অলোক সান্যাল।। সুপ্রকাশ।। পাঠপ্রতিক্রিয়া।।

Image
সুপ্রকাশ প্রকাশিত অলোক সান্যালের উপন্যাস 'নষ্ট চাঁদের আলো' পড়ে লিখেছেন তন্বিশ্রী মাঝি। আমরা তাঁর অনুমতি নিয়ে নিজেদের টাইমলাইন থেকে শেয়ার করছি।  .......................... পড়া শেষ হলো অলোক সান্যাল রচিত ইতিহাস নির্ভর উপন্যাস "নষ্ট চাঁদের আলো"। তবে এটিকে শুধুই ইতিহাসনির্ভর উপন্যাস বললে ভুল হবে, এটি একটি দুর্ধর্ষ থ্রিলারও বটে। অষ্টাদশ শতকে ইংল্যান্ডের ইতিহাসের উপর নির্ভর করে গড়ে ওঠা এই উপন্যাসে একদিকে যেমন উঠে এসেছে নিজেদের সভ্য বলে দাবি করা ইংরেজদের কলঙ্কিত অধ্যায় , অপরদিকে সমান্তরাল ভাবে গল্পে এসেছে বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে সেই অতীতের খোঁজে ফিরে চলা এক দুর্দমনীয় নারী এমা মিলারের গল্প।  উপন্যাসটি দুটি ভিন্ন সময়কে সমান্তরালভাবে এগিয়ে নিয়ে চলেছে -  একদিকে কুইন অ্যানের শাসনকালে আটলান্টিক মহাসাগরের বুকে জলদস্যুদের, বিশেষ করে আটলান্টিকের ত্রাস ব্ল্যাকবিয়ার্ডের উত্থান, এবং শেষে ওক্রেকোক খাঁড়ির যুদ্ধে রয়েল নেভির হাতে ব্ল্যাকবিয়ার্ডের মৃত্যু এবং তাঁর লুকানো ঐশ্বর্য নিয়ে গড়ে ওঠা নানান কিংবদন্তি , অপরদিকে বর্তমান সময়ে লন্ডনে এমা মিলারের সেই ব্ল্যাকবিয়ার্ডের ফ্ল্যা...

অনন্যবর্তী।। দুর্লভ সূত্রধর।। সুপ্রকাশ।। পাঠপ্রতিক্রিয়া।।

Image
সুপ্রকাশ প্রকাশিত দুর্লভ সূত্রধরের উপন্যাস 'অনন্যবর্তী' পড়ে গুডরিডস্-এ মতামত জানিয়েছেন শতাব্দী। আমরা নিজেদের টাইমলাইন থেকে শেয়ার করছি। .......................................................... চারিদিক অশান্ত। যুদ্ধের দামামা, রোগের ঘনঘটা। কঠিন কিছু, কষ্টের কিছু পড়তে ইচ্ছে করছিল না। কোন ধরনের পূর্বধারণা ছাড়াই অনন্যবর্তী হাতে তুলে নিয়েছিলাম। লেখকের আহাম্মকের খুঁদকুড়ো পড়ার ভরসা ছিল। সে ভরসা বিফলে যায় নি। কিছু নবীন, কিছু প্রবীণ মানুষের গল্প এটি। সময়টা কয়েক দশক আগের হলেও সম্পূর্ণ উপন্যাস জুড়ে যে স্মিত আবহাওয়া বিরাজমান ছিল, তা সাধারণত এমন ধরনের উপন্যাসে থাকে না। উপন্যাসটি হালকা নয়, গভীর জীবনকথার অভাব আছে এমনও নয়, কিশোর কাহিনীও নয়, আপাদমস্তক বড়দেরই। কিন্তু সেইসব বড়দের জন্য যারা জীবনকে দেখেন সহজ চোখে। অকারণ জটিলতা পার হতে পারেন যারা। যারা সমস্ত যান্ত্রিকতা পার হয়েও রোবট হয়ে পড়েন না নিজে, বরং ভবিষ্যত তা যত অল্প দিনেরই হোক না কেন, তার স্বপ্ন দেখেন। এক দঙ্গল ছেলেপেলে। পড়াশোনাতে অসাধারণ না হলেও মন্দ নয়। তাদের স্কুল থেকে কলেজ অবধি সময়টা উপন্যাসে এসেছে। তার মধ্যে শোভন আর তনয় একটু বিশেষ। ত...

নৈশ অপেরা।। শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য।। সুপ্রকাশ।। পাঠপ্রতিক্রিয়া।।

Image
সুপ্রকাশ প্রকাশিত শাক্যজিৎ ভট্টাচার্যের উপন্যাস 'নৈশ অপেরা' পড়ে মতামত জানিয়েছেন অর্ণব কর। আমরা তাঁর অনুমতি নিয়ে নিজেদের টাইমলাইন থেকে শেয়ার করছি। ........................................................ পাঠ প্রতিক্রিয়া : "নৈশ অপেরা"  লেখক : শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য প্রকাশক : সুপ্রকাশ প্রকাশনী প্রথম প্রকাশ : জুন, ২০২৫ প্রচ্ছদ : সৌজন্য চক্রবর্তী পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৪১০ মুদ্রিত মূল্য : ৫৪০ টাকা গতকাল বইটি পড়া শেষ করেছি। এখনও তার রেশ কাটেনি। উপন্যাস শেষ, রহস্য উন্মোচিত কিন্তু তবু যেন আমি দুপাশে জঙ্গলঘেরা ডেগাডেগি নদীর ধারে নির্জনে একাকী বসে আছি। উপন্যাসের স্থানীয় চরিত্রগুলো আমার চারপাশ দিয়ে ছায়া আবছায়ার মতন ঘুরে বেড়াচ্ছে। কখনও নিঃশব্দে পাশে এসে বসছে। কখনও পিছনে এসে দাঁড়াচ্ছে। কখনও কারো গলার আওয়াজ শুনে সেরকমই কোনো ছায়ার পিছু পিছু আমি হয়তো জঙ্গলে ঘেরা উঁচু নিচু পথ দিয়ে পাড়ি দিয়েছি তিতিরকান্না মাঠের দিকে।  আমি বাকিদের মতন উদ্ধৃতি তুলে তুলে গতে বাঁধা নিয়মে পাঠ প্রতিক্রিয়া লিখতে পারিনা। আমার নিজের বক্তব্যই যতটা সংক্ষেপে হয় লিখে বোঝাতে চেষ্টা করি। স্পয়লার যাতে না দ...

নৈশ অপেরা।। শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য।। সুপ্রকাশ।। পাঠপ্রতিক্রিয়া।।

Image
সুপ্রকাশ প্রকাশিত শাক্যজিৎ ভট্টাচার্যের উপন্যাস 'নৈশ অপেরা' পড়ে গুডরিডস্-এ মতামত জানিয়েছেন অভিষেক রায় বর্মণ। আমরা নিজেদের টাইমলাইন থেকে শেয়ার করছি। ............................................................. 'শেষ মৃত পাখি'-র মতন অমন অনবদ্য, শুধু সাম্প্রতিক নয়, বলব বাংলায় লেখা তাবৎ গোয়েন্দাসাহিত্যে এক আশ্চর্য ব্যতিক্রমী সংযোজনের পর, সেই একই সিরিজের প্রকাশিতব্য উপন্যাস সম্বন্ধে তার রচয়িতার কাছে প্রত্যাশা ও শেষমেশ নিরাশ হওয়ার আশঙ্কা—দুটিই খুব উঁচুতারে বাঁধা থাকে। ইতিমধ্যে শাক্যজিতের লেখা পূর্বাপর অনেকগুলি ছোটোগল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধনিবন্ধ পড়ে ফেলি এবং মনে ভরসা জাগে যে, 'শে-মৃ-পা' অসময়ে উল্কাপাতের মত আকস্মিক কোনো দৈব অঘটন নয়—বরং একজন নিষ্ঠাবান গদ্যশিল্পীর দীর্ঘ অনুশীলন ও প্রস্তুতির যথাযোগ্য ফসল। এও বুঝতে পারি যে, সাহিত্যগুণের বিচারে, পশ্চিমবাংলার একালের গোয়েন্দাসাহিত্যে এক রাজর্ষি দাশ ভৌমিক ছাড়া শাক্যজিতের সমকক্ষ কেউ নেই। কাজেই প্রত্যাশা আরো প্রশ্রয় পায়। আপাতত 'নৈশ অপেরা' পড়ে আমি যুগপৎ বিস্মিত ও বিহ্বল। এ-কাহিনি কি কেবল 'শে-মৃ-পা'-র যোগ্য উত্তরপ...

নৈশ অপেরা।। শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য।। সুপ্রকাশ।। পাঠপ্রতিক্রিয়া।।

Image
সুপ্রকাশ প্রকাশিত শাক্যজিৎ ভট্টাচার্যের উপন্যাস 'নৈশ অপেরা' পড়ে মতামত জানিয়েছেন মৌসুমী চক্রবর্তী। আমরা তাঁর অনুমতি নিয়ে নিজেদের টাইমলাইন থেকে শেয়ার করছি। ......................................................... নৈশ অপেরা শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য সুপ্রকাশ  মুদ্রিত মূল্য: ৫৪০/-              পৃথিবীর এই সব উঁচু লোকদের দাবি এসে                           সবই নেয়, নারীকেও নিয়ে যায়।                                                                     —১৯৪৬-৪৭,জীবনানন্দ দাশ … সুতরাং কিশোরী অ্যাগনেস ও’ব্রায়েন-কেও একদিন হারিয়ে যেতে হয়।  এবং এডওয়ার্ড ব্রাউন খুন হয়,ক্রিস ব্রায়ান অপহৃত হয়,মুন্না মারা যায় বা নিরুদ্দেশ হয়ে যায়,ডেভিড ব্রাউন ও মনীষা ব্রাউন আত্মহত্যা করে। এবং ‘শেষ মৃত পাখি’র ব্রিলিয়ান্ট ডেবিউর তিনবছর পর তনয়ার ...

নৈশ অপেরা।। শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য।। সুপ্রকাশ।।

Image
এমন দুপুরে বুড়োরা ঘরে ঢুকে থাকে আর তরুণেরা কাজে। সেজন্য ছোটো শহর নিস্তরঙ্গ হয়। কিন্তু, তা বলে মরে যায় কি? সেন্ট জন'স-এর মাথা ঘিরে বিচিত্র আকৃতিতে কাকের দলের ঘুরপাক। জঙ্গলে কাঠপোকার কিড়কিড় বাদে অন্য শব্দ আমি পাচ্ছি না। জায়গাটায় জিপিএস কাজ করছে না, তাই দরজাবন্ধ চার্চের সামনে দাঁড়িয়ে আমি এদিক-ওদিক তাকালাম। 'গোটা টাউনে ভূতেরা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মতো রাজ বসিয়েছে। এখানে আমরা কয়েক জন বাদে কেউ বেঁচে নেই। তুমি যাকে ভাববে বেঁচে, সে মরে আছে। আর যাকে মরা ভাববে, সে আসলে জ্যান্ত।' যাবার আগে দীপিকা বলেছিল আমাকে। আরও জানিয়েছিল একদিন জাদুবলে জঙ্গল ও পোড়োবাড়িদের দল উধাও হয়ে সেখানে মাথা তুলবে রিসর্ট, সুইমিং পুল, স্পা সেন্টার। 'ওই যে দেখছ চার্চ, ওটাই সেন্ট জন'স। রবিবার করে লোকজন আসে, কিন্তু বাকি সময়ে থমথমে। রাজ্যের সাপখোপের আড্ডা ওর অলটারের নীচে। আর আমার নাম দীপিকা সরেন।' আলগোছে, যেন অবহেলায় কাঁধ থেকে ঝাঁকিয়ে ফেলছে সে, যেভাবে অগ্রাহ্য করে এলোমেলো চুলের অবাঞ্ছিত ঝামরানো, জানিয়েছিল আমাকে। 'মনে রাখবে, এখন যতই গরম লাগুক, বিকেল থেকে কীভাবে তোমার হাড়ের ভেতর হিম ঢুকে যায়।' তবু ...

লেটারপ্রেসের কম্পোজিটর।। এক বিষাদান্ত পরম্পরা।। অনন্ত জানা।। সুপ্রকাশ।।

Image
প্রেস, নিকট-অতীতের লেটার-প্রিন্টিংপ্রেস মানে কী? প্রেস মানে তো একটা পরিচিত সাদা-কালো ছবি! মলিন ঘরে সস্তার কাঠের টেবিল, গুটিকতক চেয়ার, বেয়াড়া মাপের টুল অথবা নাতিদীর্ঘ বেঞ্চি—এই হলো সদর ; আর অন্দরে আধো-অন্ধকার-সমাকীর্ণ একটি-দুটি ঘরে কালিমাচিহ্নিত দেওয়াল, মলিন চেহারার কয়েকটি নাতি-উচ্চ কেস-র‌্যাক—যেখানে ঢুকিয়ে রাখা টাইপ-কেস, ঢালওয়ালা কিন্তু চালাহীন কম্পোজ স্ট্যান্ডের ওপরে ও স্ট্যান্ড ঘিরে রক্ষিত টাইপ-ভর্তি চৌকোণা খোপওয়ালা কেসগুলো। প্রেসের আয়তন ও সামর্থ্য-অনুযায়ী এমন টাইপ-স্ট্যান্ডের সংখ্যা, প্রত্যেকটি স্ট্যান্ডের সামনে কাঠের টুল।  লেটার-প্রিন্টিংপ্রেসের এক প্রতিনিধি স্থানীয় চিত্রের সঙ্গে সঙ্গে এই বই বিশেষভাবে ছাপাখানার সেই তাঁদের কথা, যাঁদের হাতের বিন্যস্ত অক্ষর টেলিগ্রাফের মতো সংকেতে-ইশারায়-ইঙ্গিতে মূর্ত সৌধ রচনা করে এসেছে দীর্ঘকাল। এই বই সেই ঘরের কাছের উপেক্ষার দ্বীপান্তে নির্বাসিত জগৎটির ছবিটিকে সময়ের কুয়াশাচ্ছন্ন অরক্ষিত সংগ্রহশালা থেকে পুনঃসংগ্রহের একটা প্রচেষ্টা বলা যায়। এই অপরিসর, আলো-বাতাসের কার্পণ্যে মুহ্যমান জগতের শ্রমসাধ্য-ভ্রাতৃত্বের গল্প প্রায় উপকথা হয়ে আলো ছড়ায়। সেই আলো...

খণ্ডপ্রহর।। অবিন সেন।। সুপ্রকাশ।।

Image
সিপাহী বিদ্রোহের পরবর্তী কালের কলকাতা। বাংলার আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বিশেষত কলকাতার বাঙালি-জীবনে চমকপ্রদ রূপান্তর ঘটে যাচ্ছে। কতিপয় বাঙালি চাইছে ফিরিঙ্গি বণিকদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাণিজ্য করতে। প্রাচীন এক মঙ্গলকাব্যের চরিত্র চাঁদ বেনে যেন বদলে দিতে চাইছে ছোট্ট রতিকান্তর জীবন। ‘খণ্ডপ্রহর’ আখ্যানের আবর্তে আছে রতিকান্তর উচ্চাকাঙ্ক্ষা—তার শৈশবের প্রেম—তার উত্থান—পাপ-পুণ্য আর আশ্চর্য সময়ের কুহেলি।  সমান্তরাল আর এক আখ্যানে বর্তমানের কলকাতা বদলে যাচ্ছে। বদলে যাচ্ছে সাত্যকির জীবন। তার যাবতীয় পরিচয়। আর আছে কাশীদাসী মহাভারতের ছেঁড়া তিনটি পাতা। ইতিহাস, স্বপ্ন, বাস্তব, অবাস্তবের সমাবেশে কী সংযোগ এই দুই আখ্যানের? খণ্ড খণ্ড সময়ের অভিঘাত পারবে কি তাদের মিলিয়ে দিতে? ........................... খণ্ডপ্রহর অবিন সেন ........................... প্রচ্ছদ : সৌজন্য চক্রবর্তী অলংকরণ : অদ্বয় দত্ত মুদ্রিত মূল্য : ২৮০ টাকা সুপ্রকাশ

বাঘাচাঁদের কথাকাব্য।। অনিল ঘোষ।। সুপ্রকাশ।।

Image
"এ সেই কালের কথা, যখন বাদাবন হাসিল করতে এসেছিল মানুষ। কাঁহা কাঁহা মুলুক থেকে এসেছিল তারা। হুই রাজমহল পাহাড় থেকে, মেদিনীমল্ল, ধলভূম, রাঢ়দেশ থেকে। আর নদী-নালা-খাল-বিলের মানুষ আসছে তো আসছেই। কেন আসছে? দেশে তখন ঘোর আকাল। হা-অন্ন কোথা অন্ন রব চারিদিকে। একমুঠো অন্নের খোঁজে মানুষ ছুটছে দিকবিদিক। কেউ যায় দক্ষিণে তো কেউ পুবে, কেউ উত্তরে তো কেউ পশ্চিমে। এইভাবে ছুটতে ছুটতে তাদের একটা দল পৌঁছল এই বাদার দেশে। তাদের কী দশা গো! হাড় জিরজিরে চেহারা। না খেয়ে খেয়ে পেট-পিঠ সমান হয়ে গেছে। হাঁটতে গেলে টাল খায়। হাঁস-ফাঁস শ্বাস ছাড়ে ঘনঘন। তবু স্বপ্ন তাদের চোখে। বুকে আশা আর কানে ভরসার মন্ত্র— জঙ্গল হাসিল করো। জঙ্গল হাসিল হলে জমিন পাবে, জমিন পেলে চাষ হবে, চাষ হলে ফসল ফলবে, ফসল ফললে ভাত পাবে। পেট ভরা ভাত। আর ভাত পেলে সুখ পাবে। বাঁচার সুখ। বাঁচে কীসে? খেয়ে-পরে, হেসে-খেলে, বে- শাদি করে, ছানাপোনার মুখ দেখে, সংসার ধরমের মধ্যে। এসব সুখের কথা। সুখ বাবা এমন, ওতে নেশা ধরে। হাড়িয়া-পচুই-এর নেশা তখন কোথায় লাগে! এ বাবা তার থেকেও চটকদার নেশা। আর সেই নেশার হাত-হাতিয়ার সব তৈরি। বাদায় চলো, জঙ্গল হাসিল করো, কুড়াল মারো, কোদা...

নৈশ অপেরা।। শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য।। সুপ্রকাশ।।

Image
খালারি স্টেশনের পাশ দিয়ে বেঁকে যাওয়া রাস্তা ছয় কিলোমিটার অতিক্রান্ত হবে যখন, গঞ্জে ঢোকার মিনিট পাঁচেক আগে রাস্তার ডান পাশ দিয়ে একটা টিলা উঠে যেতে দেখা যাবে। তার অন্যদিকের গা বেয়ে জঙ্গল ভরতি খাদ। এই জায়গায় ঢেউ খেলানো পথ বাঁ-দিকে একটা বাঁক নিয়েছে। অঞ্চলটাকে মন দিয়ে লক্ষ করা দরকার। লোকে বলে, এখানে পাহাড়ি ভূতের দল বাসা বেঁধে আছে অনেকদিন হয়ে গেল। সেই যেদিন থেকে রেভারেন্ড ওয়েসলি গঞ্জে প্রথম মিশনারি স্কুল তৈরি করেছিলেন, তা সে আজ থেকে প্রায় নব্বই বছর আগের কথা, অথবা, তারও আগে হতে পারে, যেহেতু মানুষ ভুলে গেছে। রাত্রিবেলা সেসব ভূতের ফুটিফাটা আত্মার গহ্বর থেকে বেরোনো সাঁই সাঁই গাঢ় নিশ্বাসকে আশপাশের মুন্ডা ওরাওঁ গ্রামগুলোর অভুক্ত কাঠকয়লা চোরের হাঁপানি হিসেবে ভুল করার কারণ দেখেনি কেউ। একপাশে আধভাঙা বেথেল মিশন চার্চ ভূতের গল্পে সারজল জুগিয়েছে। অন্ধকারে ফিসফিসানি, চাপাগলায় অট্টহাসি, অথবা, অকস্মাৎ ফুঁপিয়ে কান্নার আওয়াজ সবাই পেত সেখানে। দিনের বেলা জায়গাটা সাফসুতরো থাকত। আদিবাসী রমণীরা খোলা জায়গায় বসে রোদ পোয়াত। আচার শুকোতে দেওয়া হত পাথরের গায়ে। কিছুদূর দিয়ে বয়ে গেছে একটা পাহাড়ি ঝোরা। তার জলে নিঃসংকোচে স...

নৈশ অপেরা।। শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য।। সুপ্রকাশ।।

Image
আসছে... . . . নৈশ অপেরা শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য প্রচ্ছদ : সৌজন্য চক্রবর্তী মুদ্রিত মূল্য : ৫৪০ টাকা  সুপ্রকাশ

নৈশ অপেরা।। শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য।। সুপ্রকাশ।।

Image
নৈশ অপেরা শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য মুদ্রিত মূল্য : ৫৪০ টাকা  সুপ্রকাশ .................. আসছে জুন মাসের মাঝামাঝি।

নৈশ অপেরা।। শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য।। সুপ্রকাশ।।

Image
একটা ভেঙে পড়া টাউন। জঙ্গলের ভেতর চার্চ। কিছু ভাঙাচোরা মানুষ। রহস্যময় এক জলাভূমি। বহু বছর আগে হারিয়ে যাওয়া এক শিশু সেখানে মাঝে মাঝে দেখা দেয়। অলৌকিক আখ্যান হতে পারে, হতে পারে রহস্যকাহিনি, অথবা কিছুই নয়। হয়ত শুধুই বেদনার।  তনয়া কি পারবে এই আখ্যানের ভেতর লুকিয়ে থাকা সত্যিটা খুঁজে বার করতে? ..................... নৈশ অপেরা শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য প্রচ্ছদ : সৌজন্য চক্রবর্তী মুদ্রিত মূল্য : ৫৪০ টাকা  সুপ্রকাশ

অভিমানভূম।। শুভদীপ চক্রবর্ত্তী।। সুপ্রকাশ।। পাঠপ্রতিক্রিয়া।।

Image
সুপ্রকাশ প্রকাশিত শুভদীপ চক্রবর্ত্তীর বই 'অভিমানভূম' পড়ে ইন্সটাগ্রামে নিজেদের পেজে মতামত জানিয়েছেন Bookworm। আমরা তাঁর অনুমতি নিয়ে নিজেদের টাইমলাইন থেকে শেয়ার করছি। ........................................................ এই শহুরে কোলাহলের মাঝে একটুকরো লালমাটির ঘ্রাণ! সত্যি! কতটুকুই বা আমরা জানি এই নিষ্পাপ, আবেগপ্রবণ, উৎসবপ্রিয় মানুষগুলোর কথা? মাটির প্রতি যাদের নাড়ির টান, নিত্য অনুষ্ঠানে যারা মেতে থাকে বেঁচে থাকার আনন্দে, তাদের ঘরের ভেতর দিয়ে যেন ঘুরে আসা যায় এই বইয়ের মাধ্যমে। পুরুলিয়াকে আর একটু কাছ থেকে অভিজ্ঞতা করার জন্য এই বইয়ের জুড়ি মেলা ভার! .................................................. অভিমানভূম লেখক : শুভদীপ চক্রবর্ত্তী  প্রকাশক : সুপ্রকাশ মুদ্রিত মূল্য : ৩৫০ টাকা