Posts

Showing posts from November, 2024

লেটারপ্রেসের কম্পোজিটর।। এক বিষাদান্ত পরম্পরা।। অনন্ত জানা।। সুপ্রকাশ।।

Image
"পুরুষ-পরম্পরায় প্রায় এক শতকের লেটার-প্রিন্টিংপ্রেসের বা সাধারণ ছাপাখানার একটি বিশ্বস্ত ও প্রত্যক্ষ ছবি ছিল আমাদের বৃহৎ পরিবারের পরম্পরায় বেড়ে-ওঠা ভাই-বোনেদের কাছে। সে-অর্থে আমাদের পরিবারটিকে প্রেস-পরিবারই বলা চলত। প্রেস, নিকট-অতীতের লেটার-প্রিন্টিংপ্রেস মানে কী? প্রেস মানে তো একটা পরিচিত সাদা-কালো ছবি! মলিন ঘরে সস্তার কাঠের টেবিল, গুটিকতক চেয়ার, বেয়াড়া মাপের টুল অথবা নাতিদীর্ঘ বেঞ্চি—এই হলো সদর; আর অন্দরে আধো-অন্ধকার-সমাকীর্ণ একটি-দুটি ঘরে কালিমাচিহ্নিত দেওয়াল, মলিন চেহারার কয়েকটি নাতি-উচ্চ কেস-র‍্যাক—যেখানে ঢুকিয়ে রাখা টাইপ-কেস, ঢালওয়ালা কিন্তু চালাহীন কম্পোজ স্ট্যান্ডের ওপরে ও স্ট্যান্ড ঘিরে রক্ষিত টাইপ-ভর্তি চৌকোণা খোপওয়ালা কেসগুলো। প্রেসের আয়তন ও সামর্থ্য-অনুযায়ী এমন টাইপ-স্ট্যান্ডের সংখ্যা, প্রত্যেকটি স্ট্যান্ডের সামনে কাঠের টুল। ঢালওয়ালা অংশে সাড়াসাড়ি এবং সামনের অংশে আনুভূমির উপায়ে রক্ষিত টাইপ-কেসের সামনের টুলে কুলোর মতো পিঠ নিয়ে বসে থাকা কয়েকটি মানুষ। চারদিকে কালিমালিপ্তির বহুবিধ চিহ্নের মতোই তাঁদের হাতদুটি, তাঁদের বাঁ-হাতে কম্পোজিং স্টিক ডানহাতের দ্রুত চলাচল সঠিক টাইপের স

পথ মিশে যায় মিশনবাড়ি ।। (নদীয়া জেলার খ্রিস্টমেলা)।। সমরেন্দ্র মণ্ডল।। সুপ্রকাশ।।

Image
"তখনও কৃষ্ণনগর শহরটা গড়ে ওঠেনি। প্রাচীন নদীয়া বা নবদ্বীপের কাছেই ছিল 'রেউই' নামে একটি গ্রাম। মূলত গোপ বা গোয়ালাদের বাস। এই গোপদের আরাধ্য ছিল কৃষ্ণ। ইতিহাস পাঠে দেখা যায়, জলঙ্গী নদীর দক্ষিণ ধারে গড়ে ওঠা এই জনপদে ভবানন্দ মজুমদারের পুত্র রাঘব রায় মাটিয়ারি থেকে বাস তুলে বসতি গড়ে তুললেন রেউই গ্রামে। ভবানন্দ মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে রাজা খেতাব পেয়েছিলেন। ফলে বংশানুক্রমিকভাবে তারা রাজা হয়ে গেলেন। রাঘব রায় তৈরি করলেন রাজবাড়ি। তারই ছেলে রুদ্র রায় গোপদের মহাসমারোহে কৃষ্ণপূজা দেখে এবং কৃষ্ণের প্রতি নদীয়াবাসীর ভক্তি দেখে গ্রামের নাম দিলেন 'কৃষনগর'। গড়ে তুললেন রাজধানী করে। বাংলায় পর্তুগিজ আগমন এবং খ্রিস্টধর্ম প্রসারের প্রাক্কালে নদীয়া বা কৃষ্ণনগরে খ্রিস্টধর্মের অস্তিত্ব ছিল না। ১৮৩২ সালে নদীয়ার চাপড়া অঞ্চলে প্রোটেস্ট্যান্ট মতাবলম্বী সি এম এস বা চার্চ মিশনারি সোসাইটির পুরোহিত রেভা দিরে ধর্মপ্রচার শুরু করেন। কৃষ্ণনগরেও তখন প্রোটেস্ট্যান্টদের প্রভাব রয়েছে। এই শহরে ক্যাথলিক মিশনারিদের প্রথম পদার্পণের খবর পাওয়া যায় ১৮৪৫ সালে। ফাদার জুবিবুরু নামে এক ক্যাথলিক মিশনারি ১৮৪৫ সালে