আহাম্মকের খুদকুড়ো।। দুর্লভ সূত্রধর।। পাঠপ্রতিক্রিয়া।।
সুপ্রকাশ প্রকাশিত দুর্লভ সূত্রধরের স্মৃতিগদ্য ' আহাম্মকের খুদকুড়ো ' পড়ে লিখছেন গৌরব বিশ্বাস। আমরা তাঁর অনুমতি নিয়ে নিজেদের টাইমলাইন থেকে শেয়ার করছি। ....................... একজন ব্যক্তি, যে ধরনের আর্থ-সামাজিক পরিবেশে বেড়ে ওঠেন, তাঁর লিখিত স্মৃতিকথনেও স্পষ্টতই তার ছাপ রয়ে যায়। যেমন ধরুন, অভিজাত ধনবান কোনো বিজনেসম্যান যদি স্মৃতিকথন লিখতে বসেন, তাঁর স্মৃতিকথনে উঠে আসবে-তিনি কটা দামী গাড়ি চড়েছেন, ক'বার বিদেশ সফরে গেছেন, সেখানে কী কী এক্সটিক ডিশ চেখে দেখেছেন, কোন কোন বিজনেস ডিল ক্র্যাক করেছেন ইত্যাদি ইত্যাদি। এগুলোই তাঁর স্মৃতিকথনে উঠে আসা স্বাভাবিক। কিন্তু এধরনের স্মৃতিকথন সুখপাঠ্য যদিও বা হয়ে থাকে, এ তো আমাদের মধ্যবিত্ত জীবনের কাহিনী নয়। প্ৰকৃত মধ্যবিত্তের জীবনস্মৃতি লেখা সহজ ব্যাপার নয়। 'মধ্যবিত্ত' এই সামাজিক স্ট্যাটাসটার সংজ্ঞা বারবার বদলেছে। এ যুগে মধ্যবিত্তের স্বরূপ ধরতে পারা মুস্কিল। বরং মধ্যবিত্ত বলতে যে শিক্ষিত , সীমিত ক্রয়ক্ষমতার অধিকারী, জীবনের প্রায় সব ব্যাপারেই মধ্যম পন্থার অবলম্বনকারী, নির্দিষ্ট কিছু সামাজিক অনুশাসনের ধারক- এমন এক শ্রেণীর মানুষদের বোঝা...