হিমশীতল রহস্য।। সর্বাণী বন্দ্যোপাধ্যায়।।

'আমাদের এখানকার ফটোগ্রাফি ওয়ার্কশপের মেয়াদ কালই শেষ হতে চলেছে। ভাবতে ভাবতেই দেখি জন বিমর্ষ হয়ে গাড়িতে উঠল। কদিন ধরেই ওর মেজাজ খুব খারাপ হয়ে আছে। থিংভেলিরে আমরা কিছুক্ষণের মধ্যেই পৌঁছে যাব। জায়গাটার ভৌগোলিক গুরুত্ব অনেকখানি। ইউরেশিয়ান প্লেট আর উত্তর আমেরিকান প্লেটের চলাচলের কারণে কোথাওবা ফাটলের মতো হয়ে যায়। সেই ফাটলের জমা জলে স্কুবা ডাইভিং করে অনেকে। এরকম এক ফাটলের নাম সিলফ্রা। তার পঞ্চাশ ফুট গভীরতায় স্কুবা ড্রাইভাররা ডুব দিয়ে থাকেন। প্লেটের নড়াচড়ার জন্য উপত্যকার দক্ষিণে জল জমে আইসল্যান্ডের সবচেয়ে বড় সরোবরটির উদ্ভব হয়েছে। যার নাম 'থিংভালভান'। সরোবরটি বিশাল আর মুগ্ধ হবার মতোই সুন্দর। থিংভেলির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় চলেছি এবার। সুদূর অতীতে আইসল্যান্ডের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে গোষ্ঠীপতিরা যখন আইনের অনুশাসনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলেন তখন উপযুক্ত স্থান খুঁজতে খুঁজতে তারা থিংভেলিরে পৌঁছে যান। এক বিশাল সমতলের ওপরের টিলায় বসে সেই আসর, যেখানে সাধারণ আইনের অনুশাসন ঘোষণা করেন আইনাধক্ষ্য। নীচের বিশাল চাতালে বসে জনগণ শোনেন সেই আলোচনা। দ্রষ্টব্য জায়গায় পৌঁছে আমি দেখলাম ...