এই বিশাল ভুবনের এক অন্ধকার কোণে এক অখ্যাত গ্রাম। অনেক দূরের এক নিঝুম মাঠে পড়ে থাকা তার খড়ো চালের পাঠশালা, পাঠশালার পণ্ডিত আর পড়ুয়া, পণ্ডিতের রুলবাড়ি কিংবা দিয়াশলাই, পড়ুয়াদের বইদপ্তর; গাঁয়ের ছোটখাটো সব মানুষ, চিতু ওনা লুড়কা লেউল জগা ওন্তা বুড়া মথুর বদনা সত্য পদি কালীমতি উরা, তাদের সঙ্গী ঘোড়া-কুকুর-ইঁদুর-সাপ; তার গাছ আর ফল, আম-জাম-তাল-মোল; তার দুগ্গা আর ভাদু পূজা, যাত্রাপালা, তার বকুল গাছের ছায়ায় রামমন্দিরের শীতল চাতাল; তার শিলাই নদীর দ’ আর খালের বাঁধ— এই সবকিছু নিয়েই ‘এক যে ছিল গ্রাম’। ............................................. এক যে ছিল গ্রাম অর্দ্ধেন্দুশেখর গোস্বামী ............................................. প্রচ্ছদ : সুলিপ্ত মণ্ডল অলংকরণ : অদ্বয় দত্ত মুদ্রিত মূল্য : ৩২০ টাকা সুপ্রকাশ
সুপ্রকাশ প্রকাশিত অনির্বাণ সিসিফাস ভট্টাচার্যের বই 'চেতনার পথ জুড়ে শুয়ে আছে (পরিবেশ সম্পর্কিত আক্রমণ-হত্যা : ইতিহাস-বর্তমান)' পড়ে লিখছেন পিয়াল রায়। আমরা তাঁর অনুমতি নিয়ে নিজেদের টাইমলাইন থেকে শেয়ার করছি। ..................................................... চেতনার পথ জুড়ে শুয়ে আছে (পরিবেশ সম্পর্কিত আক্রমণ-হত্যা : ইতিহাস-বর্তমান) অনির্বাণ সিসিফাস ভট্টাচার্য প্রকাশক : সুপ্রকাশ মুদ্রিত মূল্য : ৩৯০ টাকা ফেসবুকের জমানা এসে একটা লাভ হয়েছে যে কোনো বইয়ের খবর বেশ চটজলদি পাওয়া যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় সুপ্রকাশের স্টল থেকে অবশেষে বইটি হাতে আসে। কেন বিশেষ এই বইটি সংগ্রহের জন্য আমি এতটা উতলা হয়েছিলাম সে প্রসঙ্গে বলতে গেলে বইটির বিষয় অভিনবত্বের কথাই বলতে হয়। আমার পক্ষে বইয়ের বিষয় এত বেশি নতুন ছিল যে পড়ে দেখার লোভ সংবরণ করা সম্ভব হয়নি এবং পড়ার পর বুঝেছি এই সময়ে দাঁড়িয়ে বইটি পড়া কতখানি জরুরি। এই সময় বলতে আমি বোঝাতে চাইছি গোটা পৃথিবীর রাজনৈতিক এবং বাজার অর্থনৈতিক কারণে যে বিরাট পাওয়ার শিফটিংএর খেলা চলছে তার কথা। বিশ্বব্যাপী ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে, বিশেষ...
নগরীতে প্রবেশের পর হতেই নগরীর প্রধান মাগগটি নজরে আসছে। তার দুইপাশে তরুশ্রেণী। গগনমার্গে তরুশীর্ষগুলি দুইপাশ হতে পরস্পর লগ্ন হয়ে ছত্তক-ব্যূহ রচনা করেছে। মহামাগগ বা প্রধান সড়কটি প্রস্তরফলক দ্বারা আবৃত। ভিক্ষুদল মহামাগগ ধরে অগ্রসর হলেন। আশ্চর্য! কোনো নগরজন দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না। প্রভাতকাল। মাগগপার্শ্বে সম্পদশালীজনেদের গৃহউদ্যান। সুপ্রশস্ত এই উদ্যানকে গৃহবনানীই বলা যায়। প্রথমে সুদৃশ্য পুষ্পবীথিকা, তার পর শ্রেণীবদ্ধ বিবিধ ফলতরু। সেই তরুশাখার মধ্যে দিয়ে প্রস্তর ও ইষ্টকনির্মিত গৃহগুলি দৃশ্যমান। অধিকাংশই প্রাসাদাকার, অলঙ্কৃত। সর্বাগ্রে নজরে আসে গৃহদ্বারের শীর্ষদেশের বিচিত্র ফুলকারী নকশার অলংকরণ এবং গেহদ্বারে দারুতক্ষণের কাজ। বহির্দ্ধারের স্তম্ভগুলিও ফুলকারি নকশায় সজ্জিত। গবাক্ষ ও বাতায়নের সারি। এই প্রভাতে সেসবই বন্ধ। এতটা প্রভাত তো নয়। বালার্ক দেখা দিয়েছে অনেকক্ষণ! প্রভাত বলেই কি কোথাও কোনো মানুষজন দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না? এই নিজন নীরবতা তো হিরন্ময় নয়! ইতোমধ্যেই ভিক্ষুরা একটিমাত্র বস্ত্রখণ্ডে গ্রন্থি দিয়ে প্রস্তুত তাঁদের 'স্কন্ধ-পসিব্বক' থেকে 'ভিক্ষাভাজন' বের করে দক্ষিণহস্তে তা ধারণ ...
Comments
Post a Comment