Posts

দেয়ালের লেখা : এক অন্তহীন প্রকীর্ণ শিল্পকথা।। অনন্ত জানা।। সুপ্রকাশ

Image
তীব্র রাজনৈতিক অভিঘাতই যে গ্রাফিতি উৎসমুখ খুলে দেয় তার আরও এক বড়ো প্রমাণ পাওয়া যায় গৃহযুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায়।  এই গৃহযুদ্ধের যৌক্তিকতা, ন্যায্যতা, ঔচিত্য-অনৌচিত্য বিষয়ে তর্ক ও আলোচনা চলতেই পারে, কেননা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধও ছিল তথাকথিত ‘আরব বসন্ত’-এর অন্তর্গত। ২০১০ সাল থেকে পাকিয়ে ওঠা ‘আরব বসন্ত’ আরবীয় দেশগুলিতে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটায়, কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোভুক্ত ইউরোপীয় দেশগুলির পরোক্ষ সমর্থন ও প্রত্যক্ষ সক্রিয় সহযোগিতা এবং পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমগুলির একতরফা প্রচারের মাধ্যমে ফেনিয়ে তোলা এই বসন্ত আরব দুনিয়ার দেশে দেশে একনায়কতন্ত্রী শাসন (যেমন : তিউনিসিয়ার শাসক জেন এল আবেদিন বেন আলি, মিশরের প্রেসিডেন্ট হোসনে মোবারক, লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মার গদ্দাফি, ইয়েমেনর রাষ্ট্রপতি আলি আবদুল্লাহ সালেহ প্রমুখ শাসকেরা), ভয়াবহ বেকারি, অর্থনৈতিক দুর্বলতা ও দারিদ্র্য, গণতান্ত্রিকতার প্রতিষ্ঠা, কর্মসংস্থান, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এই সমস্ত প্রতিশ্রুতি শেষ পর্যন্ত মরীচীকায় পরিণত হয়। পশ্চিমী পুঁজিবাদের প্রতিপত্তির সূচনা হয় আরব দুনিয়ায়। বিপ্লবের নামেও যে মানব-ইতিহাসের বিকল্প-...

দেয়ালের লেখা : এক অন্তহীন প্রকীর্ণ শিল্পকথা।। অনন্ত জানা।। সুপ্রকাশ

Image
বাংলার সর্বকালের অন্যতম সেরা শিল্পী জয়নুল আবেদিন (১৯১৪-১৯৭৬) তো প্রকৃত অর্থেই গণশিল্পী ছিলেন। দুর্ভিক্ষের চিত্রমালা তাঁকে খ্যাতিই শুধু দেয়নি, সময়-দেশ-মানুষকে শিল্পীরা কোন দৃষ্টিতে দেখতে পারেন তার এক সার্বজনিক মডেলও তৈরি করেছে। সস্তার কাগজে তুলি বা ব্রাশ আর কালি দিয়ে আঁকা ৪৩-এর মন্বন্তরের এই চিত্রকলার সবটাই পোস্টারের ভাষাকে শিল্পভুবনের ভাষায় পরিণত করেছে। তাঁর মুক্তিযোদ্ধা ছবিটিতে পোস্টারের শিল্পভাষা উৎকীর্ণ হয়েছে, এমন কী ৩০ফুট দীর্ঘ স্ক্রোল ‘মনপুরা ৭০’ ছবিটিকেও একটি অতিকায় পোস্টার বলা যায়। সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের মুক্তিযুদ্ধের সময় সৃজনশীল রাজনৈতিক পোস্টারের জোয়ার দেখা দিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণামূলক পোস্টার অঙ্কনে নিতুন কুণ্ডু (১৯৩৫-২০০৬ / পুরো নাম : নিত্যগোপাল কুণ্ডু), প্রাণেশকুমার মণ্ডল, দেবদাস চক্রবর্তী প্রমুখর নাম করা যায়। প্রাণেশকুমার আঁকেন ‘বাংলার মায়েরা মেয়েরা সকলেই মুক্তিযোদ্ধা’ এবং নিতুন কুণ্ডু আঁকেন ‘সদা জাগ্রত বাংলার মুক্তিবাহিনী।’ প্রথমটিতে শাড়ি-পরা রাইফেল হাত-ধরা বাঙালিনী, অন্যটিতে পুরুষের হাতে-ধরা রাইফেল―দুটিতে দুই মুক্তিযোদ্ধার স্কেচ। দেবদাস চক্রবর্তী যে পোস্টারটির...

দেয়ালের লেখা : এক অন্তহীন প্রকীর্ণ শিল্পকথা।। অনন্ত জানা।। সুপ্রকাশ।।

Image
"সত্যজিৎ রায় (১৯২১-১৯৯২) নিজের ছবির পোস্টার বিষয়ে বরাবরই সতর্ক থেকেছেন এবং  নিজেই নিজের সিনেমার পোস্টার তৈরি করেছেন। তাঁর সুবিধা ছিল এই যে, তিনি নিজে ছিলেন একজন সুদক্ষ শিল্পী ও গ্রাফিক ডিজাইনের সিদ্ধপুরুষ। পথের পাঁচালী (১৯৫৫), চারুলতা (১৯৬৪), দেবী (১৯৬০), মহানগর (১৯৬৩), মহাপুরুষ (১৯৬৫), গণশত্রু (১৯৯০), নায়ক (১৯৬৬), প্রতিদ্বন্দ্বী (১৯৭০), অরণ্যের দিনরাত্রি (১৯৬৯), সোনার কেল্লা (১৯৭৪), ঘরে-বাইরে (১৯৮৪) ইত্যাদি। অন্যান্য ছবির পোস্টারগুলিও কম উল্লেখযোগ্য নয়। সত্যজিতের করা পোস্টারগুলিকে আমরা তাঁর তৈরি সিনেমা দেখার ভূমিকা বলতে পারি। পোস্টারে ব্যবহৃত ছবি (আঁকা বা ফটোগ্রাফ) আর নামাঙ্কনের হরফ বা ক্যালিগ্রাফি―সবই একে অপরের অনুগামী―অভিন্ন ডিসকোর্সের অংশী। কিন্তু সুমন বরাবরই লক্ষ্য করেছেন―পোস্টার নিভৃতির শিল্প নয়। পোস্টারে কোনোমতেই উপযোগিতার প্রশ্নটিকে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। কারিগরের পক্ষে তো নয়ই, পেশাদার পোস্টার আঁকিয়ের পক্ষেও নয়, সেটা একান্তভাবে বাণিজ্যিক―এমন-কী আর্ট ন্যুভো আন্দোলনে আলোকিত আলফোনেস মুচার পক্ষেও নয়! কিন্তু নতুন সময়ের সিনেমার পোস্টারের রসনিষ্পন্নতার লক্ষ্যটি একটু ভিন্নতর। এই জ...

দেয়ালের লেখা : এক অন্তহীন প্রকীর্ণ শিল্পকথা।। অনন্ত জানা।। সুপ্রকাশ

Image
"ছোটোবেলা থেকে কাগজ হাতে পেলেই পেন, পেন্সিল হাতের কাছে যা পাওয়া যেতো তাই নিয়েই অক্ষর ডিজাইনের খেলা করা ছিল সুমনের স্বভাব। বিশেষভাবে স্কুলে স্যারেদের অসার সময়নিধনের কালে অঙ্ক খাতার পাতায়, দিদিদের দেওয়া বইয়ের মলাটে অবাধে চলত অক্ষরচর্চা! সব ছেলেই পেন বা ছুরি দিয়ে ক্লাশের বেঞ্চে নিজের নাম ফাঁকাতো, বেড়াতে গেলে গাছের গায়ে নিজের ও পাত্তা না-পাওয়া মেয়েটির নাম লিখত কিংবা প্রতিদ্বন্দ্বী ছেলেটির সঙ্গে যোগচিহ্ন দিয়ে কুরূপা কোনো কাল্পনিক মেয়ের নাম। সেটা ছিল সেকালের মধ্যবিত্তের ভীরু কুৎসা-কালচারের একটা সস্তা ছুঁচোমি। কিন্তু নিজের নাম সুমন খুব বেশিবার আর্ট করে লিখতে, কোনো সৌধের গায়ে কিছু লিখে দেয়াল নোংরা করতে চিরকালই তাঁর রুচিতে বাধত। এখন প্রায় পেশাদারি লিখনচর্চার প্রয়োজনের সময় তাঁর সেইসব আঁকিবুকি-কাটা কাগজগুলোর কথা মনে পড়ল। সেখানে অনেক অভিনব অক্ষরলিপির মক়়শো-করার নিদর্শন ছিল!  গোপাল বাড়ুজ্যের দোকানে বসে, রাতে ঘরে বসে সুমন আবার কাগজ নিয়ে ইচ্ছামতো অক্ষর ডিজাইন করতে শুরু করলেন। এমন-কী সাম্প্রতিককালে ছাপা পুরোনো মাপের বর্ণপরিচয় কিনে টাইপের ধাঁচ বোঝার চেষ্টা করলেন। বিভিন্ন খবরের কাগজের, পত্র-পত্...

মাটিয়ারির ইতিহাস।। গোবিন্দ বিশ্বাস।। সুপ্রকাশ

Image
নদীয়া জেলার প্রান্তবর্তী জনপদ মাটিয়ারির ইতিহাসে যেমন রয়েছে প্রাকচৈতন্যযুগের সময়কালের নির্দেশ, তেমনই রয়েছে চণ্ডীমঙ্গল ও মনসামঙ্গলের স্মৃতি। এই ইতিহাসের সূত্র ধরে বর্তমানে এসে পৌঁছানো মাটিয়ারি তার সংস্কৃতি ও ইতিহাসগত অবয়ব নিয়ে হাজির এই বইয়ে। সুপ্রকাশ অঞ্চলচর্চা গ্রন্থমালা ১০ মাটিয়ারির ইতিহাস গোবিন্দ বিশ্বাস প্রচ্ছদ : সুজন সোম মুদ্রিত মূল্য : ৩৯০ টাকা সুপ্রকাশ

সকলই গরল ভেল।। গৌরব বিশ্বাস।। সুপ্রকাশ।।

Image
"জোৎস্নায় ভেসে যাচ্ছে চরাচর। অনাবিল চন্দ্রাতপে কৌমুদিস্নাত চিরায়ত প্রেমের নিষ্কলুষ নিশান তাজমহল। ‘কালের কপোল তলে শুভ্র সমুজ্জ্বল’। তবে আজ রাত্রে, তাজের শহর মৃ. ত্যুপুরী।  শাশ্বত প্রেম আজ রাতেও আগ্রার অন্য প্রান্তে নিঃশব্দে রাখতে চলেছে তার চরণ চিহ্ন। তবে তা তাজের মতো ঈশ্বরিক নয়, হংস বলাকার মতো কোমল পবিত্র নয়। তা হ . ত্যার লিপ্সায় অভিষিক্ত, রিপুর হলাহলে মদোন্মত্ত।  শহরের একপ্রান্তে চার মূর্তি এক নিম গাছের তলায় আড্ডা মারছে। অনতি দূরের সাহেব কলোনি ডুবে রয়েছে অন্ধকারে।  এক টুকরো মেঘ এসে ঢেকে দিল চাঁদ। আড্ডারত চারমূর্তির মধ্যেও একটু যেন চাঞ্চল্য। একে একে উঠে পড়ল চারজনই। তারা দল বেঁধে চলছে সাহেব কলোনির দিকে। তাদের একজনের হাতে ত .রবারি। ওরা নিঃশব্দে ঢুকে পড়েছে এক মেমসাহেবের বাংলোয়। মেমসাহেব নিদ্রিত। তার সুখনিদ্রা, চিরনিদ্রা হতে মাত্র কয়েক মুহূর্তের অপেক্ষা। লণ্ঠনের আলো বৃদ্ধের  ঘোলাটে চোখের মতো, ঘরময় এক অতিপ্রাকৃত আবহের সঞ্চার করেছে। মেমসাহেবের অবয়ব লক্ষ্য করে একজন উঁচিয়ে ধরেছে ত .লোয়ার। সেই ভয়ঙ্কর ভঙ্গিমা ছায়াবৎ প্রস্ফুটিত হয়েছে দেওয়ালে। তারপর চোখের পলকে দৈব বাণীর মতো শুন্য...

সকলই গরল ভেল।। গৌরব বিশ্বাস।। সুপ্রকাশ।

Image
"আমার পতিদেবটি শুক্রবার বিকেল চারটে থেকে সারারত মারত্মক অসুস্থ।  লক্ষণ, কলেরার।  ও বেচারি যদিও বলছিল— অফিসের লাঞ্চে বাড়ির টিফিন খাওয়ার পরেই এমন অবস্থা, কিন্তু ডাক্তাররা ম্যাসনিক ডিনারকেই দুষছে। সত্যিটা তো কেবল তুমি আর আমিই জানি। তাই না ডার্লিং! এ সবই, তোমার পাঠানো 'টনিক পাউডার' এর কামাল!"                         — ইতি, তোমার চুম্বন প্রত্যাশী অগস্টা  #সুপ্রকাশ_প্রকাশিতব্য কলকাতা বইমেলা অথবা বইমেলার আগেই আসছে... সকলই গরল ভেল গৌরব বিশ্বাস প্রচ্ছদ : সৌজন্য চক্রবর্তী সুপ্রকাশ