সৌভাগ্যশলাকা।। অলোক সান্যাল।। সুপ্রকাশ
পালাতে চাইছে গায়াস। প্রাণপণে ছুটে চলেছে। পিছনে, খুব কাছে চলে এসেছে ভয়ংকর প্রাণীটা! অতিকায় চেহারা। হাওয়ায় উড়ছে সোনালি কেশর। বিরাট মুখগহ্বর থেকে মুহুর্মুহু হুংকার বেরিয়ে আসছে। প্রতিবার সেই গর্জনে কেঁপে উঠছে গায়াসের পায়ের নীচের মাটি। তার উত্তপ্ত নিশ্বাস নিজের শরীরে অনুভব করতে পারছে গায়াস। আর সামান্য পথ। ওই তো, সামনেই বয়ে চলেছে টাইবার নদী। একবার, কোনোক্রমে একবার যদি নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে, তাহলেই বেঁচে যাবে সে। 'দ্রুত... আরও দ্রুত!' গায়াস নিজেকে চিৎকার করে বলল। ক্লান্ত পা দুটো তার কথা শুনতে আপত্তি জানাচ্ছে। মনের শাসন মানছে না। কামড়ে ধরছে পায়ের পেশি। পাঁজর ভেঙে ফুসফুস বুঝি বেরিয়ে আসতে চাইছে। 'আর মাত্র একশো পা।' কথাটা বললেও প্রতিরাতের মতো আজও এই একশো পা দূরত্ব অতিক্রম করতে পারল না গায়াস। প্রবল জিঘাংসায় উন্মত্তের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ল পশুরাজ। তার শরীরের ভার নিয়ে ঘাসে লুটিয়ে পড়ল রোমান সেঞ্চুরিয়ান গায়াস কাসিয়াস। হাতের খাটো বর্শা দূরে ছিটকে পড়ল। সুতীক্ষ্ণ বঁড়শি যেভাবে লোভী মাছকে গেঁথে ফেলে, হিংস্র পশুটির নখপ্রান্ত ঠিক সেভাবে রোমান সেঞ্চুরিয়ানের ধাতব বর্ম ভেদ করে শরীরে চেপে বসল। তীব্র ...