Posts

Showing posts from July, 2025

নৈশ অপেরা।। শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য।। সুপ্রকাশ।। পাঠপ্রতিক্রিয়া।।

Image
সুপ্রকাশ প্রকাশিত শাক্যজিৎ ভট্টাচার্যের উপন্যাস 'নৈশ অপেরা' পড়ে মতামত জানিয়েছেন রাজর্ষি মনফকির। আমরা তাঁর অনুমতি নিয়ে নিজেদের টাইমলাইন থেকে শেয়ার করছি। ......................................................... নৈশ অপেরা লেখক : শাক্যজিত ভট্টাচার্য  প্রকাশক : সুপ্রকাশ মুদ্রিত মূল্য : ৫৪০/- ☘️পাঠানুভব ও কিছু ব্যক্তিগত অনুভূতি☘️ "প্রতিশোধ লওয়া আমার,আমি প্রতিফল দিব। তাহাদের পা পিছলাইয়া পড়িবে; তাহাদের বিপদকাল আসন্ন এবং তাহাদের সর্বনাশ ছুটিয়া আসিতেছে।" —Deuteronomy 32:35 শাক্যজিত ভট্টাচার্য'র লেখা উপন্যাস আমি আগে পড়িনি। আমি ওনার " অনুষ্ঠান প্রচারে..." আর কিছু ওয়েব্জিনে লেখা নন ফিকশন পড়েছি। ৮-৯ দশকের বৌদ্ধিক জীবনচরিত নিয়ে সেই সব লেখা পড়ে আমার ভালো লেগেছিল। এক অবসন্ন, অন্ধকারচ্ছন্ন আচ্ছনতায় জারানো সেই লেখা ভুলে যাওয়া ভাবনার সুরতহাল করত। কিন্তু," শেষ মৃত পাখি" আর " ডেরেক" সংগ্রহ করার পরেও সেই উপন্যাস গুলি আমার পড়া হয়নি।  কোন কারণ নেই, এমনিতেই পড়া হয়নি। কিন্তু যখন " নৈশ অপেরা" র ব্লার্ব পড়লাম,নিশ্চিত ছিলাম এই উপন্যাস টি আমাকে পড়তে ...

নৈশ অপেরা।। শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য।। সুপ্রকাশ।। পাঠপ্রতিক্রিয়া।।

Image
সুপ্রকাশ প্রকাশিত শাক্যজিৎ ভট্টাচার্যের উপন্যাস 'নৈশ অপেরা' পড়ে নিজেদের পেজে মতামত জানিয়েছেন Journal of a Bookworm। আমরা তাঁর অনুমতি নিয়ে নিজেদের টাইমলাইন থেকে শেয়ার করছি। ......................................................... পাঠপ্রতিক্রিয়া : ২৯/২০২৫ নৈশ অপেরা  লেখক : শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য  প্রকাশনী : সুপ্রকাশ মুদ্রিত মূল্য : ৫৪০ টাকা।। বছরের ২৯ নম্বর উপন্যাস, সুলেখক শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য এর লেখা তনয়া সিরিজ এর দ্বিতীয় বই, প্রথম বই ২০২২ সালের আমার পড়া সেরা রহস্য উপন্যাস ছিল "শেষ মৃত পাখি"।। তারপর এর মধ্যেকার সময়ে লেখকের একটি বই পড়েছি, ২০২৫ সালে নৈশ অপেরা এর প্রকাশের খবর পেয়েই বইটি বুক করি, হাতে পাওয়া মাত্র পড়া শুরু করেছি।। বইটির প্রচ্ছদ, পাতার মান খুব ভালো, বইটি পড়তে পড়তে বুঝেছি এই বই ঝড়ের গতিতে পড়ে ফেলার উপন্যাস নয়, সময় নিয়ে রসস্বাদন করার বই।।  একটা ভেঙে পড়া টাউন।। জঙ্গলের ভেতর চার্চ।। কিছু ভাঙাচোরা মানুষ।। রহস্যময় এক জলাভূমি।। বহু বছর আগে হারিয়ে যাওয়া এক শিশু সেখানে মাঝে মাঝে দেখা দেয়।। অলৌকিক আখ্যান হতে পারে, হতে পারে রহস্যকাহিনি, অথবা কিছুই নয়।। ...

নৈশ অপেরা।। শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য।। সুপ্রকাশ।। পাঠপ্রতিক্রিয়া।।

Image
সুপ্রকাশ প্রকাশিত শাক্যজিৎ ভট্টাচার্যের উপন্যাস ‘নৈশ অপেরা’ পড়ে মতামত জানিয়েছেন তারা। আমরা তাঁর অনুমতি নিয়ে নিজেদের টাইমলাইন থেকে শেয়ার করছি।  ……………………………………….. ।।।নৈশ অপেরা।।। অতি প্রিয়জনরা হারিয়ে যায়। আবার ফিরে আসে ছায়া হয়ে‌। সবটাই কি ভ্রম? একসাথে এতগুলো মানুষের ভ্রম হয়? হতে পারে? এ যেন এক অলিখিত ভবিতব্য। একটা দুঃস্বপ্ন থেকে জেগে উঠতে কতবার সাঁতরে ফিরেছি। কয়েকবার মনে হয়েছে, আর না। এই রহস্যকে চাদরে ঢেকে রাখাই ভালো। আবার মনে হয়েছে, কেন হলো? কি উদ্দেশ্য ছিল? কি অপরাধ ছিল তাদের? নিষ্পাপ প্রাণ যখন হারিয়ে যায় টাউনের বুক চিঁড়ে, কিংবা পরিবার থেকে তখনের পরিস্থিতি কেমন হয়? মানুষগুলো ভেঙে পড়ে। শুধুই ভেঙে পড়ে। মন থেকে, বাহ্যিকভাবেও। তারপরেও শ্বাস নেয়। কোমায় থাকার মতো বেঁচে থাকে একটা সময়। অপেক্ষা থাকে। কিন্তু কার? অতি প্রিয় মানুষের ফিরে আসার? তারা কি ফিরতে পারে? সেই অজানা জলঘোলাকে কেন্দ্র করেই এইবার সাজানো হয়েছে শাক্যজিৎ এর 'নৈশ অপেরা'। রহস্যপোনাসের আড়ালে ভ'য়, শ'ঙ্কা, আবেগ, উ'ৎকন্ঠার একটা ছোট্ট প্যাকেজ। সাথে আছে অমাদের অতি পরিচিত তনয়া। সত্যি বলতে পশ্চিমব...

অনন্যবর্তী।। দুর্লভ সূত্রধর।। সুপ্রকাশ।। পাঠপ্রতিক্রিয়া।।

Image
সুপ্রকাশ প্রকাশিত দুর্লভ সূত্রধরের উপন্যাস 'অনন্যবর্তী' পড়ে ইনস্টাগ্রামে নিজেদের পেজে মতামত জানিয়েছেন upanyas_tupanyas। আমরা তাঁদের অনুমতি নিয়ে নিজেদের টাইমলাইন থেকে শেয়ার করছি।  ............................................................. একটা গ্রাম, পাশে বয়ে চলেছে নদী। কেউ অসুস্থ, কারো মেয়ের বিয়ে নিয়ে দুশ্চিন্তা, কারো নুন আনতে পান্তা ফুরোয়, কারো টাকার অভাবে পড়ালেখা বন্ধ হতে চায়, সমাজের জন্য কিছু করতে গেলে বাঁধা আসে অতর্কিতে— কতো কতো সমস্যা! কিন্তু তাদের জীবনে প্রেম আছে, সহমর্মিতা আছে, হাতের ওপর হাতের স্পর্শ আছে; আছে জীবনকে বুঝবার চেষ্টা ও প্রেরণা। এই গল্প শোভন, তনয়, তরণী, তপেশ, মনোজ, টুকু, কাজু, শিবু—একদল ছেলে-মেয়ের। এ গল্প সদ্য কৈশোরে ওঠা ছেলেমেয়ের প্রেম নিবেদনের। এ গল্প সতীশচন্দ্র, শচীপ্রসাদ, ফণিভূষণের মতো সাংসারিক গন্ডিতে বন্দি জীবনের। অবনদা, কৃষ্ণাদির মতো মানুষের— যারা স্বপ্ন দেখে সমাজ পরিবর্তনের। গল্পে সমাধান নেই, তার সাথে মেনে চলা আছে: পরিণতি নেই, বয়ে চলা আছে। আর আছে এক অদ্ভুত প্রশান্তি। পড়তে পড়তে মনে হয়, এখানে যেতে পারলে মন্দ হতো না। "অনন্যবর্তী' খুব সাধা...

নৈশ অপেরা।। শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য।। সুপ্রকাশ।। পাঠপ্রতিক্রিয়া।।

Image
সুপ্রকাশ প্রকাশিত শাক্যজিৎ ভট্টাচার্যের উপন্যাস 'নৈশ অপেরা' পড়ে মতামত জানিয়েছেন জয়দীপ মুখার্জি। আমরা তাঁর অনুমতি নিয়ে নিজেদের টাইমলাইন থেকে শেয়ার করছি। ....................................................... ।।পাঠ প্রতিক্রিয়া।। নৈশ অপেরা। সুপ্রকাশ। মূল্য - ৫৪০ টাকা। 'জীবনে বহুবার এমন হয়,অফিসার।সব রহস্যের উত্তর মেলেনা। আমি সেগুলোকে নিয়ে বাঁচতে শিখেছি।' রেবেকা কেস। অমীমাংসিত রহস্য। 'শেষ মৃত পাখির' পর আমাদের প্রিয় রহস্য কাহিনির লেখক Sakyajit Bhattacharya আবার তনয়া চরিত্রটিকে পাঠক সমাজে এনেছেন এক অমীমাংসিত রহস্য উন্মোচন করতে। বর্ষায় ভেজা দার্জিলিং এর পর এবারের পটভূমি— অক্টোবর মাসের ঝাড়খণ্ডের গঞ্জ। পাঠক আন্দাজ করতে পারে জায়গাটির প্রকৃত নাম— ম্যাকলাক্সিগঞ্জ। লোকে বলে, এখানে পাহাড়ী ভূতের দল বাসা বেঁধে আছে অনেকদিন হয়ে গেল। রাত হলে তাদের ফিসফিসানি, চাপা গলায় অট্টহাসি অথবা অকস্মাৎ ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠার আওয়াজ পাওয়া যায়। এই টাউন ক্রমশঃ ভেঙে পড়ছে। এখানে হেমন্ত আসে রিক্ত সন্ন্যাসীর আগমন বার্তার মতো। গাছেরা পাতা ঝরিয়ে কঙ্কাল অবয়ব আকাশের বুকে মেলে। আছে ডেগাড...

নৈশ অপেরা।। শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য।। সুপ্রকাশ।। পাঠপ্রতিক্রিয়া।।

Image
সুপ্রকাশ প্রকাশিত শাক্যজিৎ ভট্টাচার্যের উপন্যাস 'নৈশ অপেরা' পড়ে মতামত জানিয়েছেন সায়ন সরকার। আমরা তাঁর অনুমতি নিয়ে নিজেদের টাইমলাইন থেকে শেয়ার করছি। ....................................................... Year 2025 Book 43 #2025bookreview নৈশ অপেরা  শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য  সুপ্রকাশ মুদ্রিত মূল্য ₹৫৪০ ঘাটশিলা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে মুসাবনী বলে একটা ছোট্ট শহর আছে। মুসাবনী তে আমি বার দুয়েক গেছি কারণ আমার এক আত্মীয় সেখানে থাকেন। অদ্ভুত শহর এই মুসাবনী। ব্রিটিশ জমানায় খনিজ পদার্থ পাওয়া গেছিল বলে শহরটি অর্থনৈতিকভাবে এক দারুন উচ্চতায় পৌঁছেছিল, হিন্দুস্তান কপারসের অফিস থেকে শুরু করে তাদের কোয়ার্টার এবং প্রচুর বিত্তশালী লোকেদের বাস ছিল এই মুসাবনীতে। তারপর যা হয় অর্থাৎ খনিজ পদার্থ ফুরিয়ে এল, হিন্দুস্তান কপার এখান থেকে অফিস গুটিয়ে চলে গেল এবং আমি প্রথম যখন এই শহরে যাই, অর্থাৎ ওই ২০২০ নাগাদ তখন এই শহরটা একটা ভুতুড়ে শহর। গোটা শহর জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ভাঙা বাংলো, ফাঁকা সরকারি কোয়ার্টার, কিছু স্কুল (সরকারি এবং মিশনারি) যেগুলো কোন মতে ধুঁকতে ধুঁকতে চলছে এবং সবচেয়ে অদ্ভুত ব্য...